ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। আগামী সপ্তাহেই এটি ভারত এবং বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানতে পারে। ফলেউত্তর ভারত মহাসাগরে এটাই হবে চলতি বছরের প্রথম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
Advertisement
এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া অধিদফতর ও এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা বলে আসছে যে, বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। গত কয়েকদিন ধরেই এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে।
সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি আরও বেশি শক্তিশালী ও আরও বেশি সুসংহত হয়ে উঠছে। এটা একটি শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হয়ে আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশ এবং ভারতে আঘাত হানতে পারে।
তবে এখনই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব, সময় এবং ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে কোনো ধারণা দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে ওই অঞ্চলের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা খুবই উষ্ণ। এর ফলেই আম্পান একটি শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে এই ঝড়।
Advertisement
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, মে মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। তবে কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ওই আম্ফান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড। ‘আম্ফান’ ২০১৯-এর ঘূর্ণিঝড় তালিকার শেষ নাম। ‘নর্দান ইন্ডিয়ান ওশেন সাইক্লোন’-এর নামগুলো আটটি দেশ পর্যায়ক্রমে রাখে। এই পর্যায়ক্রমগুলো হলো-বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সেই পর্যায়ক্রমে আট নম্বর তালিকায় শেষ নামটি হলো আম্ফান।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।
Advertisement
শনিবার ভোরে বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে আম্ফান। তবে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আগে বেশকিছু স্তর রয়েছে। লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ, তারপরের রূপটি হলো ঘূর্ণিঝড়।
টিটিএন/এমএস