করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বন্ধ খেলাধুলার সব আয়োজন। ফাঁকা হয়ে গেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফের) একাডেমিও। বাড্ডার বেরাইদে ফর্টিস গ্ররুপের জায়গায় গত বছর ৫ এপ্রিল এই একাডেমি শুরু করেছিল বাফুফে।
Advertisement
অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৮ বছরের ৩০ জন করে ৬০ জন ফুটবলার আবাসিক ক্যাম্পে উঠিয়েছিল বাফুফে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটি ক্লাবে নাম লিখিয়েছিল। কয়েকজন নাম লিখিয়েছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগে।
স্থানীয় আলতাফ আহমেদ, মো. মিনার, রাশেদ আহমেদ পাপ্পু, মো. পলো, নুর আলম রাহেল, আবুল হোসেন ও পারভেজ বাবুকে নিয়ে বাফুফের তৎকালীন টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক ডাইরেক্টর পল স্মলি শুরু করেছিলেন একাডেমির কার্যক্রম।
পরে একাডেমির জন্য রবার্ট মিমস, পিটার টার্নার, রবার্টস রাইলস নামের তিনজন ইংলিশ কোচ নিয়োগ দেয় বাফুফে। ইংলিশ কোচরা ফিরে গেছেন দেশে। তাদের সঙ্গে বাফুফের চুক্তিও শেষ হয়ে গেছে গত ২৭ এপ্রিল। জুনের আগে এই তিন ইংরেজের সাথে নতুন চুক্তি নিয়ে কথা বলবে না বাফুফে। তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে আলোচনার জন্য জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে।
Advertisement
ফেব্রুয়ারিতে একাডেমির ফুটবলারদের ছুটি দেয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে। যে ৬০ ফুটবলার ছিল একাডেমিতে যাদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন আছে খুবই গরীব ঘরের। ফর্টিস গ্রুপের পক্ষ থেকে অসহায় ফুটবলারদের সহায়তা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
‘আমাদের কাছে প্রত্যেক ফুটবলারের ফোন নম্বর আছে। সবার খোঁজখবর নিচ্ছি। সবাই ভালো আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার সবাইকে একাডেমিতে ডাকা হবে’- বলছিলেন কোচ রাশেদ আহমেদ পাপ্পু।
আরআই/এসএএস/পিআর
Advertisement