জাতীয়

সন্ত্রাস ও অস্থিরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন দেবী দুর্গা

এ বছর পূজামণ্ডপের কালার থিমের সাথে মিলিয়ে প্রতিমার রঙ করা হয়েছে শ্বেত মর্মরের মত। যা শান্তির বার্তা বহন করে। সেইসঙ্গে সন্ত্রাস ও অস্থিরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করে। এবার দেবী দুর্গার তেজস্বী ও গতিময় ভঙ্গিমা রুখে দেবে সন্ত্রাস ও অস্থিরতা। এমন প্রত্যাশাই করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সোমবার দুপরে বনানী-১১ এলাকার বড় মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা পরিষদের সভাপতি সুভাষ ঘোষ একথা বলেন।তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারো ৫ দিনব্যাপী শারদীয় পূজা অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয়, আনন্দময় ও নিরাপদ করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই সুবিশাল অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের পেছনে রয়েছে পরিষদ কর্তৃক গঠিত ২০টি সাব কমিটির অক্লান্ত পরিশ্রম। প্রতিবছরই আমাদের পরিকল্পনা থাকে নতুনত্ব আনা। দর্শনার্থীদের জন্য আয়োজন আরো প্রিয় ও আনন্দময় করে তোলা। তিনি বলেন, এবারের মণ্ডপ রামকৃঞ্চ মিশন বেলুড় মঠের আদলে নির্মিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দক্ষ ও সৃজনশীল কারিগরদের শিল্প দক্ষতা ও পরিশ্রমে নির্মিত হয়েছে এই সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপ। তিনি বলেন, আজ (সোমবার) বিকেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সকলের জন্য মণ্ডপ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। প্রতিদিন পূজা উপাচার ও অনুষ্ঠানের পর পুষ্পাঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণ করা হবে। গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু কে দাস বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার কারণে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা এবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকারের সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, স্থানীয় ও সিনিয়র কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) কর্মকর্তাবৃন্দ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে বেসরকারিভাবে নিরাপত্তা প্রহরী ও ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সহযোগিতার জন্য স্থানীয় কমিশনার, পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এ ব্যাপারে ডিএমপি’র গুলশান বিভাগের ডিসি মুস্তাক আহমেদ বলেন, সার্বজনীন পূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে এ এলাকার সবচেয়ে বড় পূজা মণ্ডপ এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের বাইরেও আনসার সদস্য, কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। থাকবে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি। তিনি বলেন, পুরো মণ্ডপ এলাকা সিসি টিভি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আশা করছি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সার্বজনীন পূজা উৎসব পালিত হবে।জেইউ/এসএইচএস/এমএস

Advertisement