উত্তরাঞ্চলে একই জমিতে খরাসহিষ্ণু স্বল্পমেয়াদে চারটি ফসল উৎপাদনের আওতায় ব্রি ধান-৫৬ পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। ১০৮ দিন সময়ের মধ্যে প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকরা ১৬ মণ করে ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও আরডিআরএস বাংলাদেশের আয়োজনে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) সহযোগিতায় এবার পরীক্ষামূলকভাবে এই ধান রংপুর ও দিনাজপুর কৃষি অঞ্চলের নীলফামারীসহ আট জেলায় আবাদ করা হয়েছিল এক হাজার ৫৫০ বিঘা জমিতে। এর মধ্যে নীলফামারীতে সাড়ে ৩শ বিঘা, দিনাজপুরে চারশ বিঘা, গাইবান্ধায় তিনশ বিঘা, রংপুরে একশ বিঘা, লালমনিরহাটে একশ বিঘা, ঠাকুরগাঁওয়ে দেড়শ বিঘা, পঞ্চগড়ে দেড়শ বিঘা। এই ধান কর্তনে সোমবার সকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক গোলাম মো. ইদ্রিস, কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক এবং কেজিএফ এর নির্বাহী পরিচালক ড. নুরুল আলম ও পরিচালক রহিমউদ্দিন ,আরডিআরএস বাংলাদেশ নীলফামারী ইউনিটের কর্মসূচি সমন্বয়কারী খ.ম. রাশেদুল আরেফীন ও বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ। আরডিআরএস বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশ সমন্বয়কারী মো. মামুনুর রশিদ জানান, আরডিআরএস বাংলাদেশ চলতি বছর নীলফামারী জেলায় স্বল্পমেয়াদী আমন-সরিষা/আলু-মুগডাল-আউশ শস্যবিন্যাসের আওতায় ২শ জন কৃষকের ২শ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-৫৬ এবং ১৫০ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে বিইউ-১ এর প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়। ব্রি ধান-৫৬ একটি খরাসহিষ্ণু ও স্বল্পমেয়াদী জাতের ধান যা মাত্র ১০৫-১১০ দিনের মধ্যে কর্তন করা যায়। পরীক্ষামূলকভাবে এই ধান আবাদের সফলা এখন কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে।মেলাবর বাবুপাড়া গ্রামের চাষি কৃষ্ণ চন্দ্র জাগো নিউজকে জানান, তিনি চলতি বছরের ২৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে ৩০ শতক জমিতে ব্রি ধান-৫৬ রোপণ করেন তা ১০৮ দিনে কর্তন করে ১৬ মণ ধান পেয়েছেন। কৃষক তহমিনা বেগম বলেন, এই ধান কর্তন করে আগাম আলু/সরিষা লাগানো যায় যা তাকে উৎসাহিত করেছে। জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/এমএস
Advertisement