বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক গৃহবধূর (২২) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত সোয়া ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের অবহেলায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
Advertisement
করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ওই গৃহবধূর বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর যমুনা গ্রামে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ৯ মে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির পর তিনি করোনায় আক্রান্ত কি-না জানতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। ১০ মে রাতে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপরও অসুস্থ থাকার কারণে তাকে করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। দুদিন আগে ওই রোগীর পেটে ব্যাথা ও পেট ফুলতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। রাত সোয়া ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ওই গৃহবধূর স্বজনরা জানান, ২০১৮ সালে ওই গৃহবধূ সন্তান প্রসব করেন। এরপর থেকে তিনি খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হন। গত ৯ মে শ্বাসকষ্ট ও খিচুনি বেড়ে গেলে তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগ থেকে উপসর্গগুলো ভালোভাবে না শুনে চিকিৎসার জন্য তাকে করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। ১০ মে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপরও মেডিসিন বা প্রসূতি ওয়ার্ডে স্থানান্তর না করে ওই গৃহবধূকে করোনা ইউনিটে রাখা হয়। সেখানে তাকে সঠিক চিকিৎসাও দেয়া হয়নি। চিকিৎসকদের অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
Advertisement
সাইফ আমীন/আরএআর/এমএস