বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক চিকিৎসক এখন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কর্মী। স্বাচিপের জেলা পর্যায়ের সভাপতি, মহাসচিব, আহ্বায়ক পর্যায়ের নেতাদের সুপারিশে তারা সদস্যপদ পেয়েছেন। সম্প্রতি স্বাচিপ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠকে সদস্যপদ নিয়ে অভিযোগ উঠলে প্রকৃত সদস্যপদ যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। আজ (সোমবার) বিকেল ৩টায় বিএমএ ভবনে স্বাচিপ সম্মেলন কমিটির বৈঠক বসবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যাচাই-বাছাই কমিটির একাধিক সদস্য জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে প্রস্তাবিত স্বাচিপের সদস্য সংখ্যা ১৩ হাজারেরও বেশি। তাই এখনও তারা পূর্ণাঙ্গ হিসেব শেষ করতে পারেননি। তবে এ পর্যন্ত তারা বিএনপি-জামায়াতপন্থী শতাধিক চিকিৎসক খুঁজে পেয়েছেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটি যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তারা।তারা আরো জানান, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পরীক্ষিত চিকিৎসকরাই স্বাচিপের সদস্যপদ নিয়েছেন। কিন্তু ২০০৮ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন স্বাচিপে সদস্যপদ লাভের হিড়িক পড়ে যায়। গত ছয় বছরে সদস্য সংখ্যা কয়েকগুণ হয়েছে বলে তারা জানাান।কমিটির সদস্যরা জানান, যাদের প্রাথমিকভাবে সদস্যপদ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকের আবেদনপত্রে ভুল রয়েছে। কেউ কেউ রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল দিয়েছে। কোন কোন আবেদনপত্রে সভাপতির স্বাক্ষর থাকলেও মহাসচিবের স্বাক্ষর নেই আবার কোথাও মহাসচিবের থাকলে সভাপতির স্বাক্ষর নেই।যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথার্থতার জন্য যে প্রতিষ্ঠান থেকে সদস্যপদ দেয়া হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানে ওই সময় স্বাচিপের যে সকল পরীক্ষিত কর্মী ছিলেন তাদের মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতা ছাড়ার পর বিএনপি-জামায়াতপন্থী চিকিৎসকরা গা বাঁচাতে স্বাচিপের জেলা পর্যায়ের নেতাদের নগদ টাকা পয়সা দিয়ে নাম লেখিয়েছেন। তবে কমিটির সদস্যরা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান।কমিটির সদস্য স্বাচিপের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও শেষ করতে পারেননি। যতটুকু পেরেছেন ততটুকুই আজ (সোমবার) বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। তারা কমিটির কাছে আরো সময় চাইবেন।তবে কত সংখ্যক বিএনপি-জামায়াতপন্থী চিকিৎসক স্বাচিপের সদস্য হিসেবে পাওয়া গেছে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।এমইউ/আরএস/এমএস
Advertisement