ভারতে লকডাউনে আটকে পড়া ২৭০ বাংলাদেশি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। তবে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিয়ম উঠে যাওয়ায় তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সমস্ত বাংলাদেশিরা ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট হয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফেরেন। ব্যবসা, চিকিৎসা ও ভ্রমণে গিয়ে তারা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনার লকডাউনে আটকা পড়েছিলেন।
জানা যায়, এর আগে ভারত থেকে যারা ফিরেছিলেন করোনা সংক্রমণ রোধে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরমর্শ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তারা নিয়ম না মানায় হোম কোয়ারেন্টাইন নিয়ম বাতিল করে সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন চালু হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ৬ মার্চ থেকে ভারত ফেরত যাত্রীরা সবাই বেনাপোল পৌর বিয়েবাড়ি ও যশোর-বেনাপোল সড়কের ঝিকরগাছার গাজীর দরগা মাদরাসায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন অবস্থান করছিলেন। পরে ঝুঁকিমুক্ত হলে সার্টিফিকেট নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
কিন্তু ১৩ মে সরকারি নতুন নির্দেশনায় বলা হয় পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কারো শরীরে করোনা উপসর্গ না থাকলে তারা নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এতে সুস্থ-অসুস্থ সবাই বাড়ি ফিরছেন।
Advertisement
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তাহের জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যাত্রীদের হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নির্ধারণ করা হচ্ছে। যারা ভারত থেকে ফিরেছেন তাদের কারো শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও সবাইকে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছিল। এখন সবাইকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরমর্শ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে কেউ করোনার সন্দেহভাজন হলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তারা নিয়ম মানছেন কিনা তা নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়া হবে। ভারত ফেরত সকলের নাম ঠিকানা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার মধ্যে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাতিলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। উল্লেখ্য, গত ৩৬ দিনে বেনাপোল স্থলপথে ভারত থেকে ফিরেছেন নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৩ হাজার ৫২৪ জন। এরা সবাই ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। তবে ফেরার সময় এরা সবাই ছিলেন করোনামুক্ত।
জামাল হোসেন/এফএ/এমকেএইচ
Advertisement