কর্মসংস্থান ব্যাংকে ২ হাজার কোটি টাকা আমানত দেবে সরকার। যাতে স্বল্প সুদে দেশের বেকার তরুণ-তরুণীরা ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন। আর প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে আরও ৫০০ কোটি টাকা আমানত দেবে সরকার। যাতে ঘরবাড়ি বিক্রি করে বিদেশে যেতে না হয় এবং বিদেশ থেকে ফিরলে সেখান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন তারা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ভিডিও কনফারেন্সে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে সরাসরি নগদ অর্থ প্রদান এবং মোবাইল ব্যাংকিং/অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন প্রথমবার সরকারে আসি, আমাদের যুবক শ্রেণী যারা, তারা যেন বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরে না বেড়ায়, তার জন্য একটা বিশেষ ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছিলাম- কর্মসংস্থান ব্যাংক। ব্যাংকটি সে সময় থেকে এখনও আছে। এ ব্যাংক থেকে শিক্ষিত হোক আর অশিক্ষিত হোক, যেকোনো যুবক বা তরুণ-তরুণী কোনো জামানত ছাড়াই এখন থেকে স্বল্প সুদে দুই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এই ঋণ নিয়ে তারা নিজেরা ব্যবসা করতে পারবেন অথবা বন্ধু-বান্ধব মিলে ব্যবসা করতে পারবেন। এই সুযোগ সৃষ্টির জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক আমি তৈরি করি।’
তিনি বলেন, ‘এই কর্মসংস্থান ব্যাংকে ঋণ প্রদান বৃদ্ধি করার জন্য আরও দুই হাজার কোটি টাকার বিশেষ আমানত দেয়া হবে। ওখান থেকে যুবক শ্রেণী যাতে বেকার হয়ে ঘুরে না বেড়ায় তার জন্য সেখান থেকে ঋণ নিতে পারবে তারা। নিজেরা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারবে।’
Advertisement
প্রবাসীদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যারা প্রবাসী, তারা রেমিট্যান্স পাঠায়। তারা যেন ঘরবাড়ি বিক্রি না করে, ঋণ নিয়ে বিদেশে যেতে পারে, তার জন্য প্রবাসী কল্যাণ নামে আরেকটি বিশেষ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। সেই ব্যাংকেও আমরা আরও টাকা দেব। সেখানে আমরা অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা দেব। এর আগে ওখানে আমরা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, এখন প্রবাসে কাজের পরিধি সীমিত হয়ে গেছে। সেখানেও বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছে এবং অনেকে দেশে ফিরে আসছে। তারা আমার দেশের নাগরিক। তারা ওখানে কষ্ট করুক সেটা আমি চাই না। তারা ফিরে আসলে ফিরে আসবে। কিন্তু এখানে এসে তারা যেন কাজ করে খেতে পারেন, তাদের সেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাটা আমরা করে দিচ্ছি। সে কারণে ওই ব্যাংকে আরও ৫০০ কোটি টাকা আমরা দিয়ে দিচ্ছি।’
পিডি/এমএফ/জেআইএম
Advertisement