চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আরেকটি শহর আংশিকভাবে সীমান্ত বন্ধ ছাড়াও সব ধরনের যান চলাচল ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। স্থানীয়ভাবে সেখানে করোনা সংক্রমণের নতুন একটি ক্লাস্টার তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের শঙ্কায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপি।
Advertisement
জিলিন নামের ওই শহরের বাসিন্দা ৪০ লাখের বেশি। বুধবার থেকে বাস সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধু সেসব বাসিন্দারাই শহর ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন, যাদের বিগত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ফল আসবে নেগেটিভ। কঠোর আইসোলেশনেও থাকতে হবে তাদের।
প্রাদেশিক সরকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সব ধরনের সিনেমা হল, ইনডোর জিমনেশিয়াম, ইন্টারনেট ক্যাফে এবং অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র ঘোষণার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করতে হবে। তবে জ্বর ও অ্যান্টিভাইরালের মতো আরও কিছু জরুরি ওষুধ কেনার জন্য ফার্মেসিগুলো খোলা থাকবে।
জিলিন প্রদেশের রাজধানী শহর হলো জিলিন। শহরটির সঙ্গে প্রতিবেশী রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত সংযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েক দিনে রাশিয়ায় আক্রান্ত এত বেড়েছে যে ইতালি, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্সকে ছাড়িয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত রোগী এখন ওই দেশটির।
Advertisement
বিগত এক সপ্তাহের জিলিন শহরতলীর শুলানে করোনা সংক্রমণের নতুন একটি ক্লাস্টার তৈরি হওয়ার পর সেখানে দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটির বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জিলিনের সহকারী মেয়র বুধবার সতর্ক করে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ ও জটিল, তাই দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটি ব্যাপক হারে বিস্তার লাভ করতে পারে।’
আজ বুধবার ওই শহরে নতুন করে আরও ছয়জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে; সবাই ওই ক্লাস্টারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ নিয়ে শুলানের স্থানীয় সেই লন্ড্রি দোকানে কর্মরত শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার থেকে শহর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন চলাচলও বন্ধ হবে।
এসএ
Advertisement