ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারীকে পালাতে সহায়তা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদুর ঢালী। বুধবার (১৩ মে) বিকেলে ওই নেতার বাড়ি লকডাউন করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
সাঈদুর ঢালী আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। করোনা আক্রান্ত ওই নারী তার ভাগনে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে তার অবস্থান সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় শনাক্ত করা হয়। করোনা আক্রান্ত ওই নারী আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের দেউলা গ্রামের বাসিন্দা।
আশাশুনি থানা পুলিশের ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে খবর পেয়ে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে দেখি ঘর তালাবদ্ধ। পরবর্তীতে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারি ওই নারী কচুয়া গ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়ি গেছেন। সেখানে যাওয়ার পর বিষয়টি অস্বীকার করে পরিবার। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা সবকিছু আমাদের জানিয়েছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই নারী কুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর ঢালীর ভাগনে। দুপুরে ওই নারী বাড়িতে আসেন। বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে আমরা পৌঁছানোর আগে মোটরসাইকেল ভাড়া করে তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন সাঈদুর ঢালী। ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হবে। এখনও ওই নারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে পুলিশ।
কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত হারুন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর ঢালী বিষয়টি অস্বীকার করছেন। তবে জেনেছি, ওই নারী তার আত্মীয়। বিকেল পর্যন্ত তাদের বাড়িতে ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে কুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর ঢালীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, তিনি এখানে নেই। ফোনটি আমার কাছে রেখে বাইরে গেছেন। তবে ফোন রিসিভকারী তার পরিচয় দেননি।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে এভাবে পালিয়ে বেড়ানো দুঃখজনক। কেউ আতঙ্কিত হবেন না, আমরা তাকে খুঁজে বের করব। রোগীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা সাঈদুর ঢালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
আকরামুল ইসলাম/এএম/এমএস