তিন ঘণ্টা হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়া ছেলে রিমন হোসেন সাউদের করোনা নেগেটিভ এলেও ছেলের শোকে মারা যাওয়া বাবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
Advertisement
সোমবার (১১ মে) রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সাঈদ আল-মামুন স্বাক্ষরিত রিপোর্টে রিমনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেই সঙ্গে তার বাবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এর আগে সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ছেলের মৃত্যু হয়েছে শুনে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান বাবাও। তিন ঘণ্টা বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান ছেলে রিমন হোসেন সাউদ।
করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় রিমনের মরদেহ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী ঈদগাহ কবরস্থান কর্তৃপক্ষ দাফন করতে সম্মতি দেয়নি। পরে তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে তার বাবা ইয়ার হেসেনের মরদেহ দাফন করতে কবরস্থান কর্তৃপক্ষ সম্মতি দিয়েছে। যদিও তার রিপোার্ট পরবর্তীতে করোনা পজিটিভ এসেছে।
Advertisement
ইয়ার হোসেনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার।
ইয়ার হোসেনের ছোট ভাই সানিক হোসেন বলেন, ৯ মে আমার ভাই ও ভাতিজা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাজী কোভিড-১৯ করোনা ল্যাবে। পরবর্তীতে ১১ মে তাদের করোনা রিপোর্ট আসে। এতে আমার ভাতিজার রিপোার্ট নেগেটিভ এলেও ভাইয়ের পজিটিভ আসে।
ইয়ার হোসেনের জামাতা মো. রানা ভূঁইয়া বলেন, রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমার শ্যালক রিমন সাউদ অসুস্থ হলে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু করোনার উপসর্গ অর্থাৎ জ্বর, সর্দি-কাশি থাকায় কোনো হাসপাতাল তাকে ভর্তি নেয়নি। অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর ৬টায় তার মৃত্যু হয়। একমাত্র ছেলের মৃত্যুশোক সইতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন আমার শ্বশুর ইয়ার হোসেন। তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৭টায় মারা যান। হাসপাতাল দুটি চিকিৎসা করালে আমার শ্বশুর ও ভাতিজাকে বাঁচানো যেত। ডাক্তাররা তাদের চিকিৎসা করালে আমাদের এত বড় ক্ষতি হতো না।
হোসেন চিশতী সিপলু/এএম/পিআর
Advertisement