প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে শিশুদের ভর্তি নিয়ে সীমাহীন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করতে হবে পরীক্ষা ছাড়া। কিন্তু বিভিন্ন স্কুলে প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে রাখা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরাই স্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। ফলে প্রথম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে না। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিজের এলাকার স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিভাবকরা বলছেন, স্কুলগুলোতে কোন ক্লাস থেকে শিক্ষার্থী পড়ানো হবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই। কোনো স্কুল প্লে নামে একটি শ্রেণি খুলে রেখেছে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়সের তিন বছর আগেই এই শ্রেণির লেখাপড়া শুরু হয়। আবার কোথাও জুনিয়র ওয়ান বা প্রাক-প্রাথমিক বা ছোট ওয়ান নামে একটি শ্রেণি আছে। এই শ্রেণিতে লেখাপড়া শুরু করা হয় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির এক বছর আগে। আবার অনেক স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে লেখাপড়া শুরু হয়। শিশুর শিক্ষাজীবন শুরুর এ ভিন্নতার কারণে যারা শিশুকে প্রথম শ্রেণি থেকে পড়াতে চান, তারা সন্তান ভর্তি করতে গিয়ে দুর্ভোগ ও জটিলতায় পড়ছেন।আগামী মাসে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে প্রথম শ্রেণি ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্কুল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কোনো কোনো স্কুলে ভর্তি ফরম বিতরণ শেষ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।রাজধানীর স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবীর দুলু বলেন, রাজধানীর সব স্কুলে শিশুর শিক্ষাজীবন শুরুর ধারা এক রকম নয়। কোথাও প্লে-শ্রেণি থেকে শুরু করা হয়। আবার কোথাও জুনিয়র ওয়ান বা প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু হয়। এই ভিন্নতার কারণে শিশুভর্তি নিয়ে সংকটে পড়তে হয়। উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের অনুষ্ঠান এবং ১১ অক্টোবর বিশ্ব শিশু দিবস ও আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের ভর্তি পরীক্ষা না নেয়া এবং নিজ এলাকায় শিশুর ভর্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।জেডএইচ/এআরএস/এমএস
Advertisement