জাতীয়

বিজিএমইএর সামনে ২ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে পারলেন না তারা

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময়ে পোশাক কারখানার শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নবনির্মিত ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পাঁচজন। তবে পুলিশ ও বিজিএমইএর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কারণে তারা দুই থেকে তিন মিনিটের বেশি সেখানে অবস্থান করতে পারেননি।

Advertisement

বুধবার (১৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেই পাঁচজনের একজন আরমান হোসেন। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা এ অবস্থান নেন।

আরমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিজিএমইএ ভবনের সামনে আমরা আজ বেলা ১১টার দিকে যাই। গিয়ে দেখি আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়ে আছে পুলিশ। আমরা অনেকক্ষণ ধরে তাদের বলছি যে, সেখানে দাঁড়াবো। তারা দাঁড়াতে দেয়নি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দাঁড়াই। দুই থেকে তিন মিনিট দাঁড়াতে পারছিলাম। এর বেশি না। তখন তারা বলে যে, এখানে এভাবে দাঁড়ালে আমরা মারমুখী হবো। তারপর আমরা আর থাকতে পারিনি। পরে চলে আসছি। সেখানে আমরা ছিলাম পাঁচজন। পুলিশ ছিল ১০ জনের বেশি। বিজিএমইএর নিরাপত্তা কর্মীরাও সেখানে দাঁড়াতে নিষেধ করেন।

ঈদের আগে তারা আবার বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নেবেন। তখন আরও লোকজন নিয়ে যাবেন সেখানে। যাতে তারা বেশি সময়ে ধরে শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলতে পারেন বলেও জানান আরমান হোসেন। তিনি জানান, বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নেয়ার বিষয়টি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের চৌরাস্তার পূর্ব নলজানির বাসা থেকে বাজার করতে বের হলে দুজন অজ্ঞাত লোক তাকে হুমকি দেয়। কয়েক মাস আগে পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পদত্যাগের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনে বসেন আরমান। এর জেরে পুরান ঢাকায় থাকা তাদের চায়ের দোকান তুলে দেয়া হয়। এ বিষয়ে তিনি শাহবাগসহ বেশ কয়েকটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চাইলেও তা নেয়নি পুলিশ। এছাড়া পারিবারিকভাবে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়।

Advertisement

পিডি/এমএসএইচ/পিআর