জাতীয়

ময়লার স্তূপের পাশে খোলা অবস্থায় রেখে প্যাকেট হচ্ছে সেমাই

ছোট-বড় সবারই পছন্দের খাবার সেমাই। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে অতিথি আপ্যায়নে সেমাই ছাড়া চলেই না। কিন্তু এই মজাদার সেমাই তৈরি করা হচ্ছে নোংরা পরিবেশে, আর সংরক্ষণ করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পন্থায়। বুধবার (১৩ মে) রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরের তিনটি সেমাই কারখানায় অভিযান চালিয়ে এমন চিত্র দেখতে পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

Advertisement

কামরাঙ্গীরচরের আশরাফাবাদ এলাকায় ভাই ভাই ফুড নামে একটি কারখানার ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায়, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার কাঠের স্তূপ, বিভিন্ন বস্তা, স্টিলের ট্রে সাজানো রয়েছে। সবকিছুতেই ময়লার আস্তর পড়ে আছে, কোথাও কোথাও মাকড়শার জালও। এর এক পাশে খোলা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে তৈরি সেমাই। যা অন্য একটি কক্ষের মধ্যে প্যাকেট করা হচ্ছে। যারা প্যাকেট করছেন তাদেরও খালি গা, খালি হাত। অনেকের আবার গা থেকে ঘাম ঝরে পড়ছে।

এ বিষয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাসুম আরেফিন জাগোনিউজকে বলেন, চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হয়েছে সেমাইগুলো। যে কারণে তাদের জরিমানা করার পাশাপাশি সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

অভিযানে হাবিবা ফুড প্রোডাক্টসের একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ডেকো সেমাই, লাচ্ছা সেমাই, এরফান সেমাই, শাহী মদিনা সেমাইসহ বিভিন্ন নামে নিম্নমানের এসব খাদ্যপণ্য প্যাকেট করা হচ্ছে। যেগুলো সাধারণত ঢাকার আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হবে।

Advertisement

অভিযানে নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি ও অস্বাস্থ্যকর পন্থায় সংরক্ষণ করার অপরাধে হাবিবা ফুড, ভাই ভাই ফুডের পাশাপাশি মিতালী ফুড নামে আরও একটি কারখানা মিলিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছরই ঈদকে কেন্দ্র করে অনেক কারখানায় মানহীন সেমাই তৈরি হয়। নিম্নমানের এসব সেমাই বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির মোড়কে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিক্রি করা হয়। এ কারণে ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংস্থা বেশি বেশি অভিযান চালাচ্ছে।

এসআই/এইচএ/এমএস

Advertisement