এ পর্যন্ত বিশ্বে দুই লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে নির্ঘুম রাত কাটছে গবেষকদের। আর এই মহামারি থেকে উদ্ধার পেতে গবেষকদের দিকে চাতকের মতো তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।
Advertisement
তবে এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু বলছে, কয়েকটা চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে করোনার ভয়াবহতা এবং অসুস্থতার সময়কাল-দুটোই কমানো যাচ্ছে। তবে, এ বিষয়ে আরও প্রয়োজন রয়েছে গবেষণার।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘খুব প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এখন আমাদের কাছে এমন কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি আছে, যা এই রোগের ভয়াবহতা এবং অসুস্থতার সময়কাল কমাতে পারে। তবে এখনও আমাদের হাতে এমন কোনো ওষুধ নেই যা এই ভাইরাসকে নিঃশেষ করে দিতে পারে বা আটকে দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছি এবং অনেক চিকিৎসা পদ্ধতিই সাড়া দিচ্ছে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনই এটা বলার মতো অবস্থায় নেই যে, এটাই করোনার চিকিৎসার শ্রেষ্ঠ উপায়।’
Advertisement
‘আমরা বেশ কিছু জায়গা থেকে ভালো খবর পাচ্ছি। তবে, আরও কিছুটা সময় দিতে হবে এটা বলতে যে, এই চিকিৎসা পদ্ধতিই করোনার জন্য সবচেয়ে ভালো’-যোগ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই মুখপাত্র।
তবে মার্গারেট হ্যারিসের ভাষ্য, ‘কোভিড-১৯ অত্যন্ত জটিল ভাইরাস। এর টিকা তৈরি না-ও হতে পারে। প্রতিষেধক তৈরি হলেই যে সেটা কার্যকরী হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণাগারে ১০০টি টিকা নিয়ে কাজ চলছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষেধক মানবশরীরে প্রয়োগের বা হিউম্যান ট্রায়ালের কাজ চলছে।
চলতি বছরের শেষের দিকেই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে করোনার প্রতিষেধক চলে আসবে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু হু বলছে, প্রতিষেধকের আশায় বসে না থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
Advertisement
এসআর/জেআইএম