গত ১২ মে পর্যন্ত জেলার পাঁচ উপজেলায় ৩ হাজার ১৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ২ হাজার ৫৩৭ জনের জনের এবং বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন। দেশের একাধিক সরকারি ল্যাবে টেস্ট করিয়ে এ পর্যন্ত ৭১ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন।
Advertisement
জেলা শহরে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে হোম কোয়ারেন্টাইন না মানাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
করোনার প্রকোপ শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে ২২ মার্চ জাতীয় সংসদের হুইপ, জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, সভায় জেলার স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জেলা আধুনিক হাসপাতাল এবং উপজেলা হাসপাতালে আইসোলেশন বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং নবনির্মিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ক্যাম্পাসে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সরকার ব্যয়ভার না দেয়া পর্যন্ত এই সেন্টারের সব খরচ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বহন করার ঘোষণা দেন। জেলার সব হাসপাতালের পরিবর্তে অন্যত্র একটি মাত্র আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয় যেন সব হাসপাতাল এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করা যায়। সভায় হুইপের অর্থায়নে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সরকারি মজিবর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোকছেদ আলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেফ অতিথিশালা নামে প্রথম সেন্টার চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
Advertisement
পরবর্তীতে একই ক্যাম্পাসে করোনা পজিটিভ ও সন্দেহভাজন রোগীদের রাখা নিরাপদ নয় বিবেচনায় জেলায় আরও তিনটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। যার ব্যয়ভার হুইপ ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে বহনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক জেলা শহরের পাশে টিটিসিতে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন চালু করা হয়। অপর দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুতির কাজ চলমান। জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া বলেন, আমাদের ৭১ জন করোনা রোগী আইসোলেশনে ছিল। এখন সেখান ৫৬ জন রয়েছে।
এইউএ/এএইচ/এমকেএইচ