সব ধরনের জরুরি ফৌজদারি মোশন এবং এ সংক্রান্ত জামিন আবেদন শুনানির জন্য আরও একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১২ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এর আগে হাইকোর্টের রিট ও জামিন এবং অন্যান্য জরুরি বিষয়ে শুনানির জন্যে তিনটি পৃথক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।
নতুন বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে সাধারণ ছুটিকালীন ও হাইকোর্ট বিভাগের অবকাশকালীন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০ এবং সুপ্রিম কোর্টের জারি করা প্র্যাকটিস ডিরেকশন অনুসরণ করে প্রযুক্তির ব্যবহারে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এই বেঞ্চ গঠন করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চে অতি জরুরি সব ধরনের ফৌজদারি মোশন ও এ সংক্রান্ত জামিনের আবেদন (courtannex24@gmail.com) ই-মেইলে পাঠানো যাবে।
Advertisement
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন ধরে আদালত বন্ধ থাকায় অনেক আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সোচ্চার হন। পরে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০ নামে গত ৯ মে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে গত ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়। যেখানে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের জন্য আলাদা আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ দেয়া হয়। এছাড়া আইনজীবীদের জন্য প্রকাশ করা হয় ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’।
এরই ধারাবাহিতায় করোনাভাইরাসকেন্দ্রিক সাধারণ ছুটি ও অবকাশকালীন ছুটি বা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত, তিনটি হাইকোর্ট বেঞ্চ ও অধস্তন আদালত পরিচালনার নির্দেশনা জারি করা হয়। এরপর ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতে মামলা শুনানির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
Advertisement
মঙ্গলবার (১২ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ডলফিন রক্ষা সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হালদা নদীর বিপন্ন ডলফিন রক্ষার নির্দেশ দেন। যেটি দেশের ইতিহাসে ভার্চুয়াল কোনে হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া প্রথম আদেশ।
এফএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ