জাতীয়

ক্রেতা কম তবে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই

দুপুর ১টা। ঢাকা কলেজের পাশে গ্লোব শপিং সেন্টারের প্রবেশপথে স্থাপিত দুটি জীবাণুনাশক টানেলের সামনে এক যুবক ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পরে জ্বর মাপার মেশিন হাতে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রখর রোদের কারণে ক্রেতা নেই বললেই চলে। মার্কেটের ভেতরে হাতেগোনা কয়েকজন নারী-পুরুষ কেনাকাটা করছেন।

Advertisement

ওই যুবক জানান, আজ (১২ মে) থেকে তাদের মার্কেট খোলা থাকবে। মার্কেটে আগত ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল নিয়ে বসে আছেন। টানেল দিয়ে জীবাণুমুক্ত হয়ে ক্রেতারা প্রবেশের পর যদি জ্বর মেপে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে তবেই প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

অদূরেই হকার্স মার্কেটের সামনে কিছু পোশাকের দোকান-পাটে ক্রেতাদের বেশ ভিড় চোখে পড়ে। কিন্তু সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার বালাই দেখা গেল না। ছোট দোকানটিতে সাত-আটজনকে ভেতরে-বাইরে গায়ে গা ঘেঁষে আরও কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে সামান্য কয়েকটি মার্কেট খোলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মার্কেট বিশেষ করে রাস্তার পাশের পোশাকের দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না কেউ। ক্রেতারা গায়ে গা ঘেঁষে দোকানে প্রবেশ করে কেনাকাটা করছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার (১২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সেগুলো খোলা থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা অপেক্ষাকৃত অনেক কম।

একাধিক ক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, তাদের বেশিরভাগই ঈদ শপিংয়ের জন্য নয়, গত দুই মাসেরও বেশি সময় মার্কেট বন্ধ থাকায় কিছু পোশাক কিনতে বের হয়েছেন। বড় বড়, নামিদামি পোশাকের দোকানেও ঈদের পোশাক কিনতে ভিড় জমাতে দেখা যায় ক্রেতাদের।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের আজকের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশের ৯৬৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের। সবমিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৬৬০ জনে এবং মৃতের সংখ্যা ২৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ব্রিফিংয়ে শুরুতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

Advertisement

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও মার্কেটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না ক্রেতারা। ফলে রাজধানীতে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।

এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ