লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকা পড়া ৬১ জন ভারতীয় ট্রাকচালককে ৩৮ দিন পর ফিরিয়ে নিল ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। বুড়িমারী স্থলবন্দর এসে পণ্য খালাস করে তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা আতঙ্কে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
মঙ্গলবার (১২ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে ৬১ ট্রাকচালককে ফিরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিশেষ ব্যবস্থায় পাটবীজ নিয়ে তারা বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় বিএসএফের ১৪৮ কোম্পানি কমান্ডার রাজ কুমার, ৬১ বিজিবি বুড়িমারী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক, বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) সোমেন কুমার ও বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাহফুজুল ইসলাম।
জানা গেছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য চ্যাংড়াবান্ধায় আনা হয়েছিল পাটবীজগুলো। সেদেশে লকডাউন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখায় সেগুলো ১৫ দিন সেখানেই আটকে ছিল। পরে উভয় দেশের সরকারি নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গত ৪ এপ্রিল পাটবীজ নিয়ে ৬১টি ভারতীয় ট্রাককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
Advertisement
কথা ছিল বীজ নামিয়ে ওই দিনই তাদের ফেরত পাঠাতে হবে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ওই দিনই ট্রাক খালি করে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা নেই বলে তাতে বাঁধ সাধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই দিন থেকেই ট্রাকচালকরা আটকে ছিল বুড়িমারীতে।
ভারতে প্রবেশ করার আগে আসামের ট্রাকচালক রাজেশ বলেন, আপনারা অনেক ভালো। আপনাদের অনেক খেয়েছি। আপনাদের দেশের কথা ভুলব না, আজ চলে যাচ্ছি ভাই।
ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন, দুই দেশের জঠিলতার পর আজ তাদের ফিরিয়ে আনতে পেরে ভালো লাগছে। শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের কারণে এমন সমস্যা হয়েছে।
৬১ বিজিবির বুড়িমারী ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর দুই দেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতীয় ৬১ চালক ও ৬১ ট্রাক দেশে চলে গেছে।
Advertisement
রবিউল হাসান/এএম/পিআর