ফেনীতে তথ্য গোপন করে চিকিৎসা সেবা নেয়াসহ অবাধে ঘোরাফেরা করায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এটি চলতে থাকলে ফেনীও একদিন করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ৭ জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জন চিকিৎসক, ৩ জন টেকনোলজিস্ট ও ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী। এছাড়াও তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নেয়া এক রোগীর কাছে আসা ৮ জন চিকিৎসকসহ আরও ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় বলে সূত্র জানায়।
এর আগে ২১ এপ্রিল সোনাগাজি ক্লিনিকের এক টেকনোলজিস্ট করোনা আক্রান্ত হন। পরে ফেনী ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন।যদিও ওই টেকনোলজিস্ট দীর্ঘদিন সোনাগাজীর বাইরে যাননি বলে জানান। তথ্য গোপন করে কোনো রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বলে তার ধারণা।
এছাড়াও ৬ মে ফুলগাজীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা করোনা আক্রান্ত কিশোরীও এলাকার বাইরে যাননি বলে জানা যায়। সামাজিক সংক্রমণের কারণে তারা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অনেকের ধারণা।
Advertisement
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে নয়তো ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার জানান, ননকোভিড হিসেবে ভর্তিকৃত পরবর্তীতে কোভিড শনাক্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে ৮ জন চিকিৎসকসহ ২৭ স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোভিড নিয়ন্ত্রণে জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ-সেনাবাহিনী আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রত্যাশিত সচেতনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তথ্য গোপন না করে চিকিৎসা সেবা নেয়াসহ ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
ফেনীতে চিকিৎসকসহ এখন পর্যন্ত ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যদের মধ্যে ছাগলনাইয়ায় দুইজন, দাগভূঞায় চারজন, সোনাগাজীতে একজন ও ফুলগাজীতে একজনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এদের ৩ জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন।
রাশেদুল হাসান/এমএএস/এমকেএইচ
Advertisement