জাতীয়

ঢাকা চিড়িয়াখানার কিউরেটরকে তলব সংসদীয় কমিটির

ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রাণী রক্ষণাবেক্ষণ, খাবার বিতরণ ও চিড়িয়াখানার ভূমি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কিউরেটরকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে কমিটির আগামী বৈঠকে তাকে হাজির রাখার কথা বলা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে রোববার মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, ইফতিকার উদ্দিন তালুকাদার পিন্টু, খন্দকার আজিজুল হক আরজু, মুহম্মদ আলতাফ আলী  এবং  সামছুন নাহার বেগম অংশ নেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি, প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের ডিজি, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে চলমান মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অগ্রগতি, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণার ফলাফল পর্যলোচনা, প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত বা নিখোঁজ জেলে পরিবারের পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় জানানো হয়, ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে ১৫ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করায় ইলিশের প্রজনন অধিকতর ফলপ্রসূ হয়েছে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকলে ইলিশের প্রজনন সাফল্য জাটকার প্রাপ্যতা এবং ইলিশের উৎপাদন ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।          কমিটি মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের জন্য ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম ১৫ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে ৩০ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা যায় কি-না সে সম্পর্কে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে একটি প্রতিবেদন দেয়ার সুপারিশ করেছে। এছাড়া উপকূলে প্র্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত বা নিখোঁজ জেলে পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য  আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।এইচএস/এসকেডি/আরআইপি

Advertisement