বাকস্বাধীনতা তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাইলেই সরকার হরণ করতে পারছে। মত প্রকাশ রুদ্ধ করা সাধারণ প্রবণতা যেন। দীর্ঘমেয়াদে এই প্রবণতা স্বাভাবিকতায় রূপ নিচ্ছে। আর ভয় ঠিক এখানেই। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের উদ্বেগ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকছে না।
Advertisement
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং প্রয়োগ নিয়ে সম্প্রতি যে আলোচনা হচ্ছে সে প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা শুরু থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছি। কারণ এই আইনে মানুষের অধিকার হরণ করার বিধান রয়েছে এবং এখন তাই হচ্ছে। মূলত এই আইন সাংবিধানিক ধারা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। ধর্মনিরেপক্ষ, সামাজিক সম্প্রীতির পক্ষে অভিমত, তা দমন করতেই আমরা ডিজিটাল আইনের প্রয়োগ দেখছি। এর বিপরীতে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও আমরা এই আইন প্রয়োগের ভয়াবহতা দেখতে পেলাম। সরকারের একটি অংশের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করায় আটক হতে হচ্ছে, মামলা হচ্ছে। অথচ জাতীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনো তাগিদ নেই। উদ্বেগ এখানে। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয়।
Advertisement
এএসএস/এমএফ/জেআইএম