প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সিলেট বিভাগে এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক নার্সসহ আরই ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এ বিভাগে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮৯ জনে।
Advertisement
সোমবার (১১ মে) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নতুন করে ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর ঢাকায় পাঠানো নমুনার রিপোর্টে অপর ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই ৬ জনই হবিগঞ্জের বাসিন্দা।
রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে সোমবার ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নার্স, একজন সুনামগঞ্জ ও আরেকজন হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪০ বছর বয়সী ওই নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনিই এ উপজেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি।
Advertisement
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ৯ মে ওই নার্সের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় খবর আসে ওনার করোনা পজিটিভ। বর্তমানে ওই রোগী তার নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। বাড়িটি লকডাউন করার প্রক্রিয়া চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮০ জন। সন্ধ্যায় ঢাকায় পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় হবিগঞ্জের আরও ৬ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনা। শনাক্ত হওয়া ৬ জনের ৩ জনই সরকারি কর্মকর্তা। এ নিয়ে হবিগঞ্জ জেলায় করোনা রোগী সংখ্যা দাঁড়াল ১০১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, ঢাকার আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার থেকে আসা রিপোর্টে হবিগঞ্জের ৬ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
তিনি জানান, নতুন করে শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে লাখাই উপজেলার ৩ জন, বাহুবল উপজেলার ১ জন ও বানিয়াচং উপজেলার ২ জন রয়েছেন। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে একজন ইউএনওসহ ৩ জনই সরকারি কর্মকর্তা।
Advertisement
এর আগে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ জেলা প্রশাসনের আরও ৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
ছামির মাহমুদ/এফআর