করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪ শতাংশ হারে ঋণ প্রণোদনা সুবিধা পাওয়া কৃষকদের যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঋণের সীমা ও কৃষির খাতগুলো সুনির্দিষ্ট করে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
‘প্রণোদনার আওতায় ৪ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ গ্রহণে কৃষককে সহায়তা প্রদান’ শিরোনামের চিঠিটি রোববার (১০ মে) পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকের অনুকূলে প্রণোদনা সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক শস্য ও ফসল খাতে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া ফুল ও ফল চাষ, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি খাতে ৪ শতাংশ সুদে আরো ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা স্কিম গঠন করা হয়েছে। ফলে কৃষি খাতে মোট প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণপ্রবাহ সৃষ্টি হবে। এ ঋণের সদ্ব্যবহার করে কৃষিখাতের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ঋণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রণোদনা ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা, ঋণের খাত ও সীমা উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
Advertisement
ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা
কৃষিকাজে সরাসরি নিয়োজিত প্রকৃত কৃষকরা (ক্ষুদ্র, প্রান্তিক কৃষক ও বর্গাচাষীসহ অন্যান্য কৃষকদের সহজ পদ্ধতিতে একক বা দলবদ্ধভাবে); এবং পল্লী অঞ্চলে আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে জড়িতরা।
ঋণের সীমা
ফসল উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে সর্বোচ্চ ১৫ বিঘা (৫ একর/২ হেক্টর) জমি চাষবাদের নিয়মাচারে (৫ একর পর্যন্ত জামানতবিহীন ফসল দায়বন্ধনের মাধ্যমে), এর অধিক ব্যাংকের প্রচলিত শর্তে।
Advertisement
ঋণের খাত
শস্য/ফসল (ধান, গম, ডাল, তৈলবীজ, শাক-সবজি, মসলা, ফল, ফুল,কন্দাল, অর্থকারী ইত্যাদি) কৃষি যন্ত্রপাতি, সেচ যন্ত্রপাতি, বীজ উৎপাদন,শস্য গুদাম ও বাজারজাতকরণ, দারিদ্র বিমোচন ও আয় উৎসারী কর্মকাণ্ড এবং অন্যান্য খাত (যেমন অপ্রচলিত ফসল)।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা ঋণের তথ্য সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দৃষ্টিগোচর স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা নীতিমালায় উল্লেখ আছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কৃষি ও পল্লী ঋণ সম্পর্কিত তথ্য প্রাপ্তি এবং অভিযোগ জানানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ বিভাগের ০২-৯৫৩০২৮০ ফোন নম্বর, gm.acd@bb.org.bd ই-মেইলে বা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে পত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে।
এমতাবস্থায় কৃষকদের কৃষি ঋণ প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান এবং স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে ঋণের তথ্য সম্বলিত ব্যানার প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে অনুরোধ জানানো হয়।
আরএমএম/এসএইচএস/পিআর