করোনা মোকাবিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার (৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
Advertisement
আজ সোমবার (১১ মে) এই ঋণচুক্তি সই হয়। তাতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত তাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ সই করেন।
গত ৭ মে ফিলিপাইনে অবস্থিত এডিবির প্রধান কার্যালয় করোনা মোকাবেলায় তৃতীয় ধাপে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয়। সেই অনুমোদিত ঋণেরই আজকে চুক্তি সই হলো।
চুক্তিসই শেষে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি সইয়ে আমি খুব আনন্দিত। কারণ, করোনার আর্থ-সামাজিক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেয়া এই অর্থ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘এই সহযোগিতা জীবন ও জীবিকাকে বাঁচানোর জন্য। খুব দ্রুত, মাত্র এক মাসের মধ্যে এই অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া শেষ করেছি আমরা। আমরা আনন্দিত যে, আমরা এই অর্থ এমন এক সময় হস্তান্তর করতে যাচ্ছি, যখন এই অর্থের খুবই প্রয়োজন বাংলাদেশের। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের আগের যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল, সেই অবস্থায় খুব দ্রুত ফিরে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং দরিদ্র ও অরক্ষিতদের রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই অবস্থানে ফিরবে।’
এডিবি বলছে, এই ঋণের সুবিধা পাবে বাংলাদেশের দরিদ্র ও অরক্ষিত প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। এখন প্রায় ১৫ লাখ পোশাককর্মীকে বেতন প্রদান এবং করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের বিশেষ সম্মানি দেয়া সম্ভাব হবে। বাংলাদেশের সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় থাকা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদানও অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। দেশের প্রায় ২০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে প্রায় ২ হাজার টাকা (২৩ মার্কিন ডলার) এবং প্রায় ১০ লাখ দরিদ্র পরিবার ২০ কেজি করে খাবার সহযোগিতা দিতে পারবে সরকার এই করোনাকালীন সময়ে। সেই সঙ্গে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও স্বল্প সুদের সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
এর আগে গত ২৮ মার্চ করোনা মোকাবেলায় জরুরিভিত্তিতে ২ কোটি ৫৫ লাখ (৩ লাখ মার্কিন ডলার) ঋণ অনুমোদন দেয়এডিবি। দ্বিতীয় দফায় ৩০ এপ্রিল প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা (১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ অনুমোদন দেয় এডিবি।
করোনাভাইরাস মোকাবিলা ও দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে এডিবি ছাড়াও বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) কাছ থেকেও ঋণ নিচ্ছে সরকার।
Advertisement
পিডি/এসএইচএস/পিআর