দেশজুড়ে

ঈদ শপিংয়ে সর্বনাশ, রায়পুর ফের লকডাউন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ঈদের কেনাকাটায় স্বাস্থবিধি মানা হচ্ছে না। এতে করোনা প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির আশঙ্কায় পুনরায় অনির্দিষ্টকালের জন্য রায়পুরকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

Advertisement

আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মে) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া পোশাকবিতানসহ বাকি সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সোমবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম মারুফ বিন জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনকি তৎপরতা থাকলেও জেলা সদরের পোশাকবিতানগুলোতে বিধি মানতে নারাজ ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ অবস্থায় সদর উপজেলাতেও লকডাউন চাচ্ছেন সচেতন মহল।

লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ এহতেশাম হায়দার বাপ্পি নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে করোনারোধে অন্যদেরকেও উৎসাহিত করছেন।

Advertisement

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন শেষে ১০ মে রায়পুর উপজেলা শহরের প্রত্যেকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়। ঈদের কেনাকাটার জন্য উপজেলা শহর ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ক্রেতারা বাজারে আসেন। কিন্তু কেউই স্বাস্থবিধি মেনে কেনাকাটা করছেন না। গায়ে গা লাগিয়ে দোকানের ভেতর জটলা সৃষ্টি করে বেচাকেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এতে করোনা ঝুঁকি বেড়ে গেছে। উপজেলায় এখন পর্যন্ত চারজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে উপজেলা প্রশাসন পুনরায় অনির্দিষ্টকারের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে দুপুরে পৌনে ৩টার দিকে উপজেলা শহরে মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রায়পুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, প্রথম দিকে রায়পুর করোনামুক্ত ছিল। গত সপ্তাহ থেকে উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হতে শুরু করে। এ পর্যন্ত চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার খুলে দেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। এজন্য সর্বনাশ হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পুনরায় উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রামগঞ্জে প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত ১২ এপ্রিল জেলা প্রশাসন লক্ষ্মীপুরকে লকডাউন করা হয়। পরদিন সকাল থেকে লকডাউন কর্মসূচি কার্যকর করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ মে জেলা-উপজেলার প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে।

Advertisement

কাজল কায়েস/এএম/এমএস