মে মাস, ইউরোপে বলতে গেলে বসন্ত এসেই গেছে। কয়েক দিন আগেও রাস্তার ধারে নির্জীব আর প্রাণহীনভাবে যেসব গাছ পড়ে ছিল, এপ্রিল বা মে মাস আসতে না আসতে একেবারে অবিশ্বাস্যভাবে গাছগুলো ভরে উঠেছে সবুজ কচি পাতায়। পত্রপল্লব ভরে উঠছে নতুন ফুলে।
Advertisement
কেউ বিশ্বাস করবে না কয়েক দিন আগেই প্রকৃতির প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া ছিল দুষ্কর; প্রকৃতি যেনও একেবারে নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চারদিকে পাখিদের কলতান, মৌমাছিগুলো যেনও ছুটে চলেছে আপন গতিতে ফুল থেকে পুষ্পরস সংগ্রহ করতে। রোদেলা ভোরের বাতাস সত্যি মৃদুমগ্ন, একচিলতে বসন্তের রোদ যেন পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ হীরের টুকরো থেকেও দামি।
ইউরোপে বসন্ত যেন সত্যি অসাধারণ, ব্যাকরণের কোনো উপমা দিয়ে তার সৌন্দর্য বলে বোঝানো যাবে না। তবে দেরিতে হলেও প্রকৃতির এ চিরযৌবনা বসন্তের মতো মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়ায় একটু একটু করে জনজীবনে বসন্তের রং লাগতে শুরু করেছে।
কয়েক দিন আগেও যেখানে সবকিছু ছিল কুয়াশার চাদরে মোড়া। হঠাৎ করেই যেন কুয়াশার ঘন আবরণ একটু একটু করে বিদীর্ণ করে সূর্যের আলো ফুটতে শুরু করেছে। করোনা যুদ্ধ শেষের দিকে স্লোভেনিয়া ধীরে ধীরে যেন তার স্বাভাবিক রূপ ফিরে পাচ্ছে।
Advertisement
বিশ্বের অন্য দেশের মতো স্লোভেনিয়াও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নিষ্ঠুর থাবা থেকে রেহাই পায়নি। তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় স্লোভেনিয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তেমন একটা জটিল আকার ধারণ করতে পারেনি। বিশেষ করে সংক্রমণের হার এবং একই সঙ্গে মৃত্যুর হার এখানে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটা নিম্নগামী। আমরা সবাই জানি যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ইউরোপে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থানে থাকা দেশটির নাম ইতালি অথচ ইতালির পাশের দেশ হওয়া সত্ত্বেও স্লোভেনিয়ায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ সে অর্থে ছিল না বললেই চলে।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে ইতালির সীমান্তবর্তী স্লোভেনীয় অংশ অর্থাৎ পশ্চিম স্লোভেনিয়ায় সমগ্র স্লোভেনিয়ার মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে কম। স্লোভেনিয়ার সরকারের গৃহীত বেশ কিছু পদক্ষেপ, দেশটির প্রশাসনের তৎপরতা ও দেশটির সাধারণ মানুষের সচেতনার কারণে অপেক্ষাকৃত দুর্বল অর্থনীতির একটি দেশ যেভাবে করোনা পরিস্থিতিকে সামাল দিয়েছে, তা ইতিমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রশংসার সৃষ্টি করেছে। সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় দেশটিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে স্লোভেনিয়া তেমনভাবে আমাদের দেশের মানুষের কাছে পরিচিত না হওয়ায় আমাদের দেশের গণমাধ্যমে স্লোভেনিয়া নিয়ে সে অর্থে আলোচনা হয় না বললেই চলে।
গত কয়েক দিন ধরে স্লোভেনিয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে হাঁটছে। ৭ মে, স্লোভেনিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্লোভেনিয়ায় নতুন করে আরও একজন এ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। পাশাপাশি গেল ২৪ ঘণ্টায় স্লোভেনিয়ায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে স্লোভেনিয়ায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৪৫০ জনে। মৃতের সংখ্যা এক শতে পৌঁছাল। এ ছাড়া সর্বমোট সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৪৭ জন। ২ এবং ৩ মে টানা ৪৮ ঘণ্টা স্লোভেনিয়ায় এ সংক্রমণের হার একেবারে শূন্যতে গিয়ে পৌঁছেছিল। এ সময় নতুন করে কেউই দেশটিতে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হননি।
স্লোভেনিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইয়ানেজ ইনশার রেডিও বার্তায় জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তবে যদি সাধারণ মানুষজন খুব বেশি সতর্কতা অবলম্বনের ব্যাপারে সচেষ্ট না হয়, দ্বিতীয় ধাপে গত শতাব্দীর প্যানডেমিক স্প্যানিশ ফ্লুর মতো আবারও করোনা হানা দিতে পারে স্লোভেনিয়ায়। ১৯ মার্চ স্লোভেনিয়ায় জারি করা জরুরি অবস্থা অনেকটা শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কয়েকটি ধাপে। এখন আর স্লোভেনিয়ার অভ্যন্তরে এক মিউনিসিপ্যালিটি থেকে অন্য মিউনিসিপ্যালিটিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। বার, রেস্টুরেন্ট, কপিশপগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (১১ মে) থেকে স্লোভেনিয়ার অভ্যন্তরে বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহনসেবা পুনরায় চালু করে দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।
Advertisement
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে খুলে দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে অবশ্য এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ সপ্তাহের মধ্যে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তাঁদের কোভিড-১৯ টেস্টের আওতায় আনা হবে। যদি সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হতে পারে। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবশ্য ইতিমধ্যে শিক্ষাবর্ষ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে এবং অনলাইন ভিত্তিতে তারা ফাইনাল পরীক্ষার আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে।
এ ছাড়া পরিস্থিতি এ রকম স্থিতিশীল থাকলে মে মাসের শেষের দিকে যথাসময়ে স্টেস্ট মাতুরা এক্সাম অনুষ্ঠিত হবে। স্টেট মাতুরা এক্সামকে আমাদের দেশের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এ ছাড়া ৪০০ বর্গমিটারের কম ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট সব আর্ট গ্যালারি, মিউজিয়াম, লাইব্রেরিসহ সব ধরনের দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে পাবলিক প্লেসগুলোতে এখনো সবাইকে ১ দশমিক ৫ মিটারের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থানে চলে আসায় জনগণের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। এখন অনেক সময় রাস্তায় হাঁটলে বোঝা যায় না কয়েক দিন আগেও করোনার ভয়ে সবাই ছিল ভীতসন্ত্রস্ত। খেলার মাঠগুলোতে চোখ বাড়ালে দিব্যি দেখতে পারবেন যে বসন্তের মিষ্টি রোদে বাবা-মা তাদের সন্তানদের নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। বাচ্চারাও আপন মনে ছুটে বেড়াচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই গানের মতো—
‘হা রে রে রে, রে রে, আমায় ছেড়ে দেরে দেরে—যেমন ছাড়া বনের পাখি মনের আনন্দে রে।ঘন শ্রাবণধারা যেমন বাঁধনহারাবাদল-বাতাস যেমন ডাকাত আকাশ লুটে ফেরে।।’
সবকিছু আগের অবস্থানে ফিরে আসছে এবং নিঃসন্দেহে এটি আমাদের সবার জন্য আশার বাণী হলেও আমার জীবনে খুব বেশি একটি স্বস্তি নেই। আমার জীবন্ত চৈত্রের সেই দুপুরের মতোই আজও যেন এক বিরাণভূমি। বাংলাদেশে থাকতে মনে করতাম ইউরোপ কিংবা আমেরিকা অথবা অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখা মানেই জীবনে সার্থকতা অর্জন করা। কিন্তু ইউরোপে আসার পর মনে হয় এ যেন এক মেকি স্বপ্ন ছাড়া আর কোনো কিছুই নয়।
কোনো কিছু না হারালে তার মর্ম কোনো দিন বোঝা যায় না। আজকের এই দিনে মা-বাবা কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা ভীষণ মনে পড়ছে। রমজান বা ঈদের অনুভূতিও একদম শুকিয়ে গেছে। এবারের রমজান অন্যবারের তুলনায় আলাদা। কিশোর বয়সের স্মৃতিবিজড়িত মালিবাগ কিংবা মৌচাক অথবা পল্টনের সেই রাস্তাগুলো আমায় ডাকছে। ইচ্ছে করছে এখনই ছুটে যাই পুরান ঢাকার সেই বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর, নান্নার বিরিয়ানি, শমসের আলীর ভুনা খিচুড়ি কিংবা শত বছরের ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের সেই ইফতারির স্বাদ নিতে।
দুই দিন আগে জানলাম আমাদের ডরমেটরি যে হাইস্কুলের অধীনে, তারা এ বছরের শিক্ষাকার্য সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। জরুরি অবস্থা জারির পরই ডরমিটরি অনেকটা ফাঁকা। স্লোভেনিয়ার শিক্ষার্থীরা সবাই তাদের বাসায় ফিরে গেছেন। এ ঘোষণার পর অনেকে আবার এসেছেন ডরমিটরিতে তাঁদের স্পেস সম্পূর্ণ ফাঁকা করতে।
তাদের সঙ্গে পরিবারের অনেকে এসেছেন, অনেকের হয়তোবা আর কোনো দিন পদচিহ্ন পড়বে না এখানে। কেউ আবার শিগগিরই অন্য কোথাও চলে যাবেন। শূন্য ডরমিটরিতে একা বসে আছি সেই চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে চোখ রেখে। স্লোভেনিয়ায় ইমিগ্র্যান্ট বলতে অন্যান্য সাবেক যুগোস্লাভ দেশের যারা নাগরিক এ দেশে বসবাস করেন যেমন বসনিয়ান, মেসিডোনিয়ান, সার্বিয়ান, ক্রোয়েশিয়ান। তাদের অনেকে নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন কিন্তু আমি কেবল একলা বসে কাঁদছি।
পড়াশোনায় একদম মন নেই, চারটি সাবজেক্টের পরীক্ষা বাকি এখনো। মিডটার্মে ফেল এসেছে, অনলাইনে ক্লাস আসলে যথার্থ নয়। ইউনিভার্সিটি খোলা থাকলে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে থাকলে যেভাবে ক্লাসগুলো হতো, অনলাইনে তার সিকিভাগও হয়ে ওঠে না। এক অমাবস্যা এসে পুরো জীবনটাকে অন্ধকারে ঘিরে দিয়েছে।
কত দিন মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমাই না, তার হিসাব নেই। দেশে থাকতে বাবার যেকোনো কড়া কথা বিষের মতো মনে হতো অথচ এখন বাবা নেই পাশে। কেউ আর আমাকে শেষ রাতে ডেকে দেয় না সাহরি খাওয়ার জন্য, আমার জন্য ইফতারির টেবিলও সাজায় না কেউ। ছোট বোনের সঙ্গেও ঝগড়া করা হয় না অনেক দিন, পাশের বাসার ছোট দুই ভাই লাবিব আর সিয়ামকে একবার দেখার জন্য আর তাদের দুজনে আধো আধো কথা শোনার জন্য প্রাণটা ভীষণ ছটফট করছে। করোনা পরিস্থিতি সাময়িক সময়ের জন্য আমাকে বেকার করে দিয়েছে, কোনো কাজও নেই এ মুহূর্তে। অনিশ্চিত এক প্যারাডক্সের সমক্ষে আজ আমার জীবন দাঁড়িয়ে।
ইউরোপের অন্যা দেশের মতো স্লোভেনিয়ায় সে রকম প্রবাসী বাংলাদেশি নেই। সব মিলিয়ে এখানে ২৫ থেকে ৩০ জনের বাস এখানে। কেউ রাজধানী লুবলিয়ানাতে, কেউ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মারিবোরে থাকেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইউরোপের মতো সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক দিক থেকে কেউই সে রকম শক্তিশালী অবস্থানে নেই। নেই কোনো সুসংগঠিত বাংলাদেশি কমিউনিটি। আমি থাকি ভিপাভাতে, যেটি অনেকটা গ্রামীণ এলাকা। এখানে আমি একা বাংলাদেশি, আমার বাসা থেকে ইতালির সীমান্ত খুব কাছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক দিন সেখানে যাওয়া হয় না। মায়ের হাতের রান্না করা সাদা পোলাও, আলু দিয়ে গরুর মাংসের ঝোল আর চিকেন রোস্টের কথা মনে পড়ছে ভীষণ। করোনাভাইরাসের প্রকোপে এবারের ঈদ আনন্দ আরও ফিকে। ঘরে যা মসলা ছিল, সব শেষ হয়ে গেছে, ইউরোপিয়ানদের মতো আধা সেদ্ধ মসলাবিহীন খাবার খেয়ে দিন কাটছে আমার, যা এক কথায় বিষাদের। সীমান্ত খোলা থাকলে ইতালিতে গিয়েই সব প্রয়োজনীয় সদাই নিয়ে আসতাম কিন্তু কবে নাগাদ সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং দুই দেশের সীমান্ত সংযোগ পুনরায় প্রতিস্থাপিত হবে, কেউই বলতে পারে না নিশ্চিতভাবে। এবারের ঈদে কেউ আমাকে নতুন কাপড়ও দেবে না।
অঘোষিত এক কারাগারে জীবনটা বন্দী হয়ে আছি। দেশে যেতে ইচ্ছে করছে ভীষণভাবে, করোনা পরিস্থিতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ফ্লাইটও ছেড়ে যাবে না বাংলাদেশ কিংবা স্লোভেনিয়ার কোনো জায়গা থেকেই।
করোনাভাইরাস আমার জীবনটাকে সত্যি এক বন্দিদশায় ঠেলে দিয়েছে। একাকী জীবনের ক্ষত যেনও আরও গভীর হয়ে গেছে। কবে এ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাব, সেটা বলতে পারব না। তবে সামগ্রিক অবস্থা সম্পূর্ণভাবে সত্যি যেদিনকে সবার নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং যেদিন সব ফ্লাইট চলাচল পুনরায় আবার চালু করা হবে, সেদিন সবার আগে আমি ছুটে যাব আমার প্রিয় বাংলাদেশের দিকে। মা, বাবা, ছোট বোন আর নানিকে জড়িয়ে ধরব আবার, পাশের বাসার ছোট ভাই লাবিব আর সিয়ামের গাল দুটি টিপে দেব আবার। যাদের সঙ্গে জীবনে অন্যায় করেছি, সবার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইব। জানি না সেদিন কত দূরে আর।
এমআরএম/এমএস