চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
Advertisement
সোমবার (১১ মে) সকালে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রংপুর বিভাগের খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ আহ্বান জানান। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল থেকে বোরো ধান কেনা শুরু হয়েছে। ৭ মে থেকে শুরু হয়েছে চাল সংগ্রহ। ধান-চাল সংগ্রহ শেষ হবে ৩১ আগস্ট।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না।’
Advertisement
ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা পরিস্থিতি, বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন খাদ্যমন্ত্রী।
রংপুর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে, তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের মৌসুমে আট লাখ টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশও একটা মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা পরবর্তী খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে, ভালো আচরণের মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে। বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি, তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিতেও আমাদেরকে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে।’
কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি গুদামের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খামালের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং কৃষকের লটারির পর আগে থেকেই ওয়েটিং লিস্ট তৈরিসহ কিছু দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন তিনি।
Advertisement
ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, কোনোভাবেই পুরান চাল নেয়া যাবে না। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের, পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহারের নির্দেশ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসক, রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য দেন।
আরএমএম/এএইচ/পিআর