বয়সের সাথে সাথে চুল পাকা স্বাভাবিক। কিন্তু বয়সের আগেই চুল পাকলে তা স্বাভাবিক নয়। তখন এটি সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। যখন চুলের কোষগুলো রঞ্জক উৎপাদন তৈরি করা বন্ধ করে দেয় তখনই অকালে চুল পাকার সমস্যা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে চুল অকালে পেকে যায় ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে।
Advertisement
বর্তমানে নির্দিষ্ট বয়সের আগেই পাকা চুলের সমস্যা বাড়ছে মানুষের মধ্যে যার অন্যতম কারণ আমাদের জীবনযাপন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চুল পাকা রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সরিষার তেল। চুল পাকার সমস্যা দূর করতে সরিষার তেলের ব্যবহার জানার আগে জেনে নিন কোন কোন কারণে অকালে চুল পাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে-
* মানসিক চাপ* ঘুম কম হওয়া* পুষ্টির অভাব* শরীরচর্চার অভাব* ধূমপান* নিয়মিত মদ্যপান।
অকালে চুল পেকে যাওয়া আটকাতে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার হলো সরিষা তেল। এই তেল প্রায় সবার রান্নাঘরেই থাকে।কাঠের ঘানির সরিষার তেলের খোঁজ করুন। খুশকি আর শুষ্ক চুলের যত্নে জন্য এটি ভীষণ উপকারী।
Advertisement
সরিষার তেল উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে সেলেনিয়াম রয়েছে যা চুলের গোড়া এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। এই তেল প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুলের ফলিকল ও চুলের গোড়ার জন্য অপরিহার্য।
সরিষার তেল অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা অকালে চুলের পেকে যাওয়া আটকায় এবং আপনার চুলের গোড়ার স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য দুর্দান্ত। এটি চুলের বৃদ্ধির জন্যও উপকারী।
কীভাবে চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করবেন?৩ টেবিল চামচ (৫০০ মিলিগ্রাম) সরিষার তেলে ভালো মানের ঠান্ডা নারিকেল তেল (২০০ মিলি), ১ চা চামচ ভাজা মেথি বীজ এবং ১ চা চামচ গুঁড়া কারি পাতা যোগ করুন। এই মিশ্রণ প্রায় এক সপ্তাহের জন্য রেখে তারপর চুল ও চুলের গোড়ায় এই তেল মাসাজ করুন।
এক মিনিট ধরে সরিষার তেল গরম করে আস্তে আস্তে আপনার চুলের গোড়া এবং চুলে তা এটি মাসাজ করতে পারেন।
Advertisement
এই তেল দিয়ে একদিন বাদে বাদে প্রায় ১০ দিন মাসাজ করলে পার্থক্য টের পাবেন। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সপ্তাহে দুবার বা তিনবার এই তেল দিয়ে চুলে মাসাজ করতে পারেন।
মাথা ধোয়ার আগে এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা তেলটি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন। সারারাত মাথায় তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন।
চুল পাকা রোধে আরও যা করতে পারেন: ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং লোহা অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ বিশাল ভূমিকা পালন করে। বাদাম, বীজ, ডিম, দুধ এবং সবুজ পাতাযুক্ত সবজি এই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের উদাহরণ।
এইচএন/এমএস