রাজশাহী বিভাগে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে ১৬ জনের। সবমিলিয়ে বিভাগের আট জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৩ জনে। দুইদিন আগে এই সংখ্যা ছিল ২০৭ জন।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাত্র একজন। আর এক রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ পর্যন্ত বিভাগে ১৬ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। করোনায় মৃতের সংখ্যা এখনও দুইজন। সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য দফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দিনে দিনে রাজশাহী বিভাগে করোনা পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। এখন করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ পর্যায় চলছে। এই অবস্থায় প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে। বিনাপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কেবল সচেতনতাই রুখে দিতে পারে করোনার সংক্রমণ।
এদিকে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে, এখনও সবচেয়ে বেশি ৭০ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে নওগাঁয়। বিভাগে করোনার হটস্পট এই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আটজনের। প্রায় প্রতিদিনই এই জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগী।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে পাঁচজনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে জয়পুরহাটে। সবমিলে এই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। বিভাগের আট জেলার মধ্যে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। আক্রান্তদের ৪০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই জেলার ৪ রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
এ পর্যন্ত ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বগুড়ায়। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে দুইজনের। আক্রান্তদের ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন এখানকার আটজন। বিভাগে করোনা জয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি।
এর বাইরে রাজশাহীতে দুইজন, নওগাঁয় একজন এবং পাবনায় একজন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এখনও হাসপাতালে বগুড়ার ১৪ করোনা রোগী আছেন। রাজশাহীতে দুইজন এবং নওগাঁ ও পাবনায় একজন করে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। এ পর্যন্ত রাজশাহী ও নাটোরে একজন করে মারা গেছেন করোনায়।
স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েনি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে। এ পর্যন্ত রাজশাহীতে ১৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫ জন, নাটোরে ১২ জন, পাবনায় ১৬ জন এবং সিরাজগঞ্জে ছয়জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
Advertisement
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৬১৫ জনকে। এই সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়েছেন ৭৫৯ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে গেছেন চারজন। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৩২ জনের। নতুন করে ১১ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪ জন।
গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২৮ হাজার ১৫৮ জনকে। এদের মধ্যে ২০ হাজার ৫৮৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৪২১ জনকে। এদের ২৭৫ জনপ্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ২৩৩ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৭৮ জন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমকেএইচ