বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর আরও এক সংবাদকর্মী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (১১ মে) ওই সংবাদকর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। প্রথম আলোর এক সিনিয়র রিপোর্টার জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে কাজ করছেন। ফলে বিশেষ ব্যবস্থায় বের হচ্ছে পত্রিকাটি। তবে ওই সাংবাদিক ইতোমধ্যে সেরে উঠেছেন।
এদিকে দৈনিক ইত্তেফাকের আরও ছয় কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১২-তে পৌঁছেছে। এরা সবাই ঢাকার হেড অফিসে বসতেন।
পত্রিকাটির এক সিনিয়র সাংবাদিক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের পর এখন সবাইকে আর অফিসে যেতে হয় না। প্রতিদিন একজন করে রির্পোর্টার অফিস করেন। আর সবাই বাসা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করেন। রিপোর্টিং শাখা ছাড়াও অন্যান্য শাখায় সীমিত আকারে লোকবল অফিসে যায়।’
Advertisement
প্রথম আলো ও ইত্তেফাকের নতুন আক্রান্ত দিয়ে সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৮৭ জন সংবাদকর্মী করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে এর মধ্যেই ১৪ জন সংবাদকর্মী সেরে উঠেছেন। আর একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দুজন সংবাদকর্মী করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
গত শনিবার এটিএন নিউজের সিনিয়র এক রিপোর্টারের শরীরে করোনা সংক্রমন ধরা পড়ে। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতা।
উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন-দৈনিক ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসলাম রহমান এবং দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র সাব-এডিটর মাহমুদুল হাকিম অপু।
করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে এ পর্যন্ত সুস্থ হওয়া সংবাদকর্মীরা হলেন- ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির একজন ক্যামেরাপারসন, যমুনা টিভির একজন রিপোর্টার এবং নরসিংদী প্রতিনিধি, দীপ্ত টিভির একজন, এটিএন নিউজের একজন রিপোর্টার, একাত্তর টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি, বাংলাদেশের খবরের একজন রিপোর্টার, দৈনিক সংগ্রামের একজন, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা পত্রিকার সম্পাদক, ভোরের কাগজের বামনা উপজেলা (বরগুনা) প্রতিনিধি, দৈনিক প্রথম আলোর একজন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি, দৈনিক জনতার একজন এবং নিউজ পোর্টাল পূর্ব-পশ্চিমের জামালপুর প্রতিনিধি।
Advertisement
এইচএস/এসআর/এমকেএইচ