জাতীয়

মন্ত্রীর আশ্বাসে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশ্বাসে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে বাস শ্রমিকরা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা আদায় করে।  এছাড়া কাফরুল থানাধীন এলাকায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে মনির হোসেন নামে এক কনডাক্টরকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি রুটে যান চলাচল বন্ধ করে বাস শ্রমিকরা।এদিকে, শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে পুরো রাজধানীতে হাজারো যাত্রী। গণপরিবহণ না থাকায় ছোট যানগুলোতে অস্বাভাবিক ভাড়া গুণতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীর অনুপাতে রিকশা, অটোরিকশা, টেম্পুসহ গাড়ি কম থাকায় পায়ে হেঁটে গন্তব্যের পানে ছুটে চলেন অনেকেই। এছাড়া বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে ঘরমুখো যাত্রীরা। ফার্মগেইট, মতিঝিল, গুলশান, মিলপুর, আগা্রগাওসহ বিভিন্ন স্থানে হাজারো মানুষ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সকাল থেকে এ ধর্মঘট চলে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে থাকলে তার শাস্তি হতেই পারে। কিন্তু চলন্ত বাস থামিয়ে চালকদের জেলে পাঠানো মেনে নেয়া যায় না।  খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শ্রমিকদের বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেওয়ায় বিকেলে সমিতির পক্ষ থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।  কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার শামীম হোসেন ও শেরে বাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল গণেশ বিশ্বাস জানান, ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় তালতলার কাছে বিআরটিএ’র একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ছিল। কাগজপত্র ও রুট পারমিট না থাকায় এক কনডাক্টরকে এক মাসের সাজা দেয় আদালত। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছিল। তবে বিকেলে তা প্রথ্যাহার করা হয়। এখন রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রযেছে।জেইউ/এএইচ/পিআর

Advertisement