দেশজুড়ে

করোনামুক্ত ব্যাংকার-চিকিৎসক বললেন, মনোবল শক্ত রাখতে হবে

কুষ্টিয়ায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাংকার ও দুই চিকিৎসক করোনাকে জয় করলেন। কুষ্টিয়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২৩ এপ্রিল।

Advertisement

আক্রান্ত ওই ব্যক্তি কুষ্টিয়া শহরের ২৩৮ মীর মোশাররফ হোসেন সড়কের সূর্যসেনা ক্লাব সংলগ্ন আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহাবুব আহম্মেদ চপ্পল (৩০)। তিনি মাদারীপুরের সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অফিসার পদে কর্মরত।

গত ২৫ মার্চ তিনি মাদারীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে আসেন। শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় চিকিৎসকরা তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি কুষ্টিয়ার নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা চালিয়ে অবশেষে সুস্থ হলেন।

একই সঙ্গে কুষ্টিয়ায় সরকারি হাসপাতালের আরও দুই চিকিৎসক করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদের একজন ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাকিব আল ইমরান (২৮) এবং অপরজন মিরপুর উপজেলার মেডিকেল অফিসার সৈয়দা তাসমিনা তাবাসসুম তামান্না (২৮)।

Advertisement

২১ এপ্রিল ডা. রাকিব আল ইমরানের শরীর থেকে নুমানা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য ২২ এপ্রিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ২৩ এপ্রিল ফলাফল পজিটিভ আসে। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন।

ডা. সৈয়দা তাসমিনা তাবাসসুম তামান্নার করোনা শনাক্ত হয় ২৬ এপ্রিল। তিনিও আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়েছেন তিনিও।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তারা তিনজনই সুস্থ। পর পর দুই বার পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তাদের প্রত্যেকের শরীরে উপসর্গ ছিল। তাই আমরা বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দিয়েছি তাদের।

এদিকে, রোববার বিকেলে সিভিল সার্জন এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম তার অফিসে তিনজনকে করোনামুক্ত ঘোষণা করে তাদের হাতে ফুল এবং উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

Advertisement

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে তিনজন জানান, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে হলে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন; সেটা হচ্ছে মনোবল। দৃঢ় মনোবল ধরে রেখে চিকিৎসকদের পরার্মশ মেনে চললে করোনাকে জয় করা সম্ভব।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, এ নিয়ে কুষ্টিয়া হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পাঁচজন এবং বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণ করা তিনজনসহ আটজন সুস্থ হলেন। কুষ্টিয়া জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ জন।

আল-মামুন সাগর/এএম/এমকেএইচ