তথ্যপ্রযুক্তি

করোনা সচেতনতায় ভিন্ন ধরনের কার্টুন প্রদর্শনী

‘কার্টুন পিপল’ অনলাইনে আয়োজন করেছে একেবারে ভিন্ন ধরনের এক প্রদর্শনী। করোনা নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্টুন এঁকেছেন আঁকিয়েরা।

Advertisement

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে কার্টুন পিপল ও এটুআই- এর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়ার যৌথ উদ্যোগে হয়ে গেল ‘Fight against Corona’ (করোনার বিরুদ্ধে লড়াই) শীর্ষক কার্টুন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় দেশ ও দেশের বাইরের ৩০০ এর অধিক কার্টুনিস্টদের অংশগ্রহণে ৭৮৭ সচেতনতামূলক কার্টুন জমা পড়ে।

এটুআই-এর পক্ষ থেকে সেরা কার্টুন আঁকিয়ে ৫০ হাজার, দ্বিতীয় সেরা ৩০ হাজার এবং তৃতীয় সেরা ২০ হাজার টাকা সম্মানী ঘোষণা করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন মাহতাব রশীদ, রাকিব রাজ্জাক ও সৈয়দ ফিদা হোসেনের আঁকা তিনটি কার্টুন।

আয়োজনে বিচারক হিসেবে ছিলেন উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, ছড়াকার ও সাংবাদিক অনিক খান এবং লেখক ও অ্যানিমেশন ফিল্মের প্রডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ওয়াহিদ ইবনে রেজা।

Advertisement

আয়োজকের কথা

কার্টুন পিপলের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় বলেন, ‘কার্টুনিস্টদের একটা বিশাল কমিউনিটি কার্টুন পিপল। প্রথম থেকেই চিন্তা ছিল করোনার সময়ে আমরা কার্টুনিস্টরা কীভাবে সহায়তা করতে পারি। সেখান থেকেই এই প্রতিযোগিতা আয়োজন। মূল লক্ষ্য ছিল এই মহামারি সম্পর্কিত সচেতনতামূলক বার্তাগুলো কার্টুনের মাধ্যমে সহজে উপস্থাপন করা। যার মধ্যে পড়ে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, শারীরিক দূরত্ব, করোনার লক্ষণ, ভয়-গুজব ইত্যাদি। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপস্থাপন করা যেকোনো বিষয় বেছে নিয়ে কার্টুন আঁকার জন্য বলেছিলাম আমরা।

কার্টুনিস্টদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ ছিল গোড়া থেকেই। যখন এটুআই প্রাইজমানির ঘোষণা দেয় তখন তাদের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। এত সব চমৎকার কার্টুনের মধ্যে সেরা তিনটিকে বাছাই করা সত্যি কঠিন ছিল আমাদের বিচারকদের জন্য।

৭৮৭ কার্টুন থেকে বর্তমানে ১৫৪টি কার্টুন নির্বাচন করা হয়েছে সারাদেশে বিনামূল্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য। সচেতনতা তৈরিতে যে কেউ এই কার্টুনগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। কার্টুনগুলো সবার দেখার জন্য ফেসবুকে একটি অনলাইন প্রদর্শনী এবং ভার্চুয়াল ক্যাটালগও তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

প্রাপ্ত কার্টুন থেকে সেরা ১৫৪টি কার্টুন ইমেইল সংযুক্তিতে এবং কার্টুন পিপলের ফেইসবুক পেজের ফটো গ্যালারিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। দেখতে এখানে ক্লিক করুন

এমএআর/এমএস