জাতীয়

জাগো নিউজে সংবাদ : নমুনা নেয়া হলো সেই পরিবারের

চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম বাকলিয়ায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ঘরবন্দি সেই পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই পরিবারটির খোঁজ-খবর রাখছেন থানার ওসি ও স্থানীয় কাউন্সিলর।

Advertisement

রোববার (১০ মে) দুপুর দেড়টার দিকে জাগো নিউজকে বিষয়টি জানান করোনায় মৃত্যুবরণ করা আহমেদ আরমানের সন্তান আবিদ।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের সহায়তায় আমাদের পরিবারের সবার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল আপনারা খোঁজ-খবর শুরুর পরে রাতেই আমাদের কাউন্সিলর এ কে এম আরিফুল ইসলাম ডিউক একটি গাড়ির ব্যবস্থা করেন। সকালেও বাসায় এসেছিলেন। আমাদের সব খোঁজ-খবর রাখছেন। সকালেই গাড়িতে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবাইলজি ওয়ার্ডে গিয়ে নমুনা দিয়ে এসেছি।’

জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর রাতেই পরিবারটির খোঁজ-খবর নেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন

Advertisement

এদিকে রাতেই পরিবারটির কোনো কিছুর প্রয়োজন আছে কি না, খবর নেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।

আবিদ বলেন, ‘ওসি সাহেব রাতে এসেছিলেন। আমার শরীর খারাপ ছিল, নিচে যাইনি। তারা আমাদের জন্য মশার কয়েল নিয়ে এসেছিলেন। আপনাদের আবারো ধন্যবাদ, সবার সহযোগিতায় এতটুকু সম্ভব হয়েছে। এবার রিপোর্টটা হাতে পেলে হয়।’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৪ মে) করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান পশ্চিম বাকলিয়ার বাসিন্দা আহমেদ আরমান (৫৫)। সেদিনই তার স্ত্রী-পুত্রসহ পুরো পরিবারকে ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের রাহাত্তার পুল চান্দা পুকুরপাড় এলাকার বাড়িতে লকডাউন করা হয়। পরিবারটির অভিযোগ ছিল, এর পরের পাঁচ দিনেও পরিবারটির খবর নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগ। অথচ এরই মধ্যে ওই পরিবারের ১৪ মাসের এক শিশুসহ ছয়জনের মধ্যেই করোনা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।

শনিবার এ ঘটনা তুলে ধরে করোনায় মৃতের বাড়িতে এলাকাবাসীর তালা, ভেতরে কাতরাচ্ছে শিশুসহ ৬ জন! শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে জাগোনিউজ২৪.কম। এর পরই পরিবারটির সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।

Advertisement

জেডএ/এমএস