চীনে গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে দুর্বলতা রয়েছে তা স্বীকার করেছেন দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি চীনের গনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাকে প্রকাশ করেছে।
Advertisement
চীনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে এই বিরল স্বীকারোক্তি দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের পরিচালক লি বিনের। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চীন সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিতে পারেনি। শুরু থেকেই দেশটিকে নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। এর মধ্যেই এমন মন্তব্য করলেন বিন।
তবে তার মতে, চীন এখন তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাবে।এর মধ্যেই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়াকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন।
এক সংবাদ সম্মেলনে লি বলেন, চীনের শাসন ব্যবস্থার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ ছিল এই মহামারি। আর বড় ধরণের মহামারি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা সামনে এসেছে।
Advertisement
সাম্প্রতিক সময়ে বার বার চীনের সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওয়াশিংটনের।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন এই মহামারি পরিস্থিতি শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সারাবিশ্বকে এখন ভুগতে হচ্ছে।
এদিকে, লি বিন বলেছেন, স্বাস্থ্য কমিশন এর পুরো ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীয়করণ করে এবং বিশালাকার তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করবে।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে দেশে এবং বাইরে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে চীন। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কয়েকজন প্রাদেশিক এবং স্থানীয় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে দলটির শীর্ষ কোন নেতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
Advertisement
তবে গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার আহ্বানের বিষয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি।চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্যের জন্য শি জিন পিংকে অভিনন্দন জানানোর পর দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন।
তবে গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় চীনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে আরও ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৯০১।
টিটিএন/পিআর