জাতীয়

যে কারণে বিদ্যুতের বিপর্যয়

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৯টি, নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি ইউনিটই বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ভেড়ামায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ত্রুটির কারণে সবকটি ইউনিটে একযোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দেয়। রাজধানীসহ সারাদেশের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।  শনিবার বেলা ১১টার পর ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র কারণে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র একযোগে একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ভয়াবহ ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার হাসপাতাল গুলোতে নেমে আসে বিপর্য়য়।তবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি এক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। হাসপাতালসহ যেখানে জরুরি প্রয়োজন সেখানে ৫-৬ ঘণ্টা বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহের পরামর্শ দিয়েছে ডিপিডিসি।পিডিবির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, জরুরি মেরামত চলছে। এরই মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্র চালু হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থায় শাহজালাল বিমানবন্দর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশেপাশের ছয়টি জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। শনিবার বেলা ১২টা পাঁচ মিনিটের দিকে বিকট শব্দ করে একের পর এক সবকটি ইউনিট অচল হয়ে পড়ে। তবে এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অচিন্ত্য কমুার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউনিট বন্ধের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারিগরি বিভাগের পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান জানান, ভেড়ামারা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়। এ সময় (দুপুর পৌনে ১টা) আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছয়টি ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন একযোগে বন্ধ হয়ে যায়।তিনি জানান, জাতীয় গ্রিডের ত্রুটি সারাতে নিজস্ব প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। তবে কখন সবকটি ইউনিট চালু হবে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

Advertisement