হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে মাল্টা চাষ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানকার মাটি মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও ভালো হচ্ছে। কম জায়গায় এবং অল্পপুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় মাল্টার বাণিজ্যিক আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক।
Advertisement
উপজেলার জগতপুর গ্রামের মো. কাউছার চৌধুরী বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মাল্টা বাগান করেছেন। চার বছর আগে গাছ লাগানো হয়। গত বছর ফল বিক্রি করেছেন প্রায় ২৫ হাজার টাকার। এবার তিনি ২০ শতক জায়গার ওপর চাষ করেছেন। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। সব ঠিক থাকলে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে এ বাগানটি গড়ে উঠেছে। তার বাগান দেখে এ উপজেলার অনেকেই এখন মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
রাসায়নিকমুক্ত হওয়ায় বাজারে এ ফলের বেশ চাহিদাও রয়েছে। বাগান থেকে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। দূর-দূরান্ত থেকে ফল ব্যবসায়ীরা এসে তার বাগানের মাল্টা কিনে নিয়ে যান। অনেকে আগাম বুকিং দিয়েও মাল্টা কেনেন।
Advertisement
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও স্বল্পসুদে ব্যাংকঋণ পেলে আরও বড় পরিসরে উন্নতজাতের মাল্টা চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তার। বাগানের মাল্টা সারাদেশে বাজারজাত করার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
বাগানের মালিক কাউছার চৌধুরী বলেন, আমি চাই এলাকার যুবকরা এ ধরনের বাগান করে স্বাবলম্বী হোক। আমাকে কৃষি অফিস সার্বিক সহযোগিতা করার ফলে মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বিষয়ে যে কেউ আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবে।
তিনি বলেন, আমি আরও বড় পরিসরে মাল্টা বাগান করার চেষ্টা করছি। এ বছর মাল্টা বিক্রি শেষে বাগান বর্ধিতকরণ কাজে হাত দেব।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপ-সহকারী কৃষি অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৬ সালে কাউছার চৌধুরীকে মাল্টা ফলের চারা, সার আর কিছু টাকা দেই। তিনি ২০ শতক জমিতে ওই চারাগুলো রোপণ করেন। কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাল্টা বাগানটি গড়ে উঠেছে। আর এবার মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও শায়েস্তাগঞ্জের নছরতপুরে আরও একটি মাল্টা বাগান আছে।
Advertisement
তিনি বলেন, আরও কেউ যদি মাল্টা বাগান করতে আগ্রহী হয় কৃষি অফিস সব ধরনের সহযোগিতা করবে। মাল্টা একটি লাভজনক ফল।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/বিএ/এমকেএইচ