করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আত্মত্যাগ করলেন বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল জালাল উদ্দিন খোকা (৪৭)। এ নিয়ে পুলিশ বাহিনীর সাত সদস্য করোনার লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন।
Advertisement
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পূর্ব বিভাগের এ ট্রাফিক কনস্টেবল শনিবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জালাল উদ্দিন খোকার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হয় গত ২৬ এপ্রিল। পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পজিটিভ আসে। এরপর থেকে তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Advertisement
জালাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার উড়াহাট গ্রামে। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
এর আগে ডিএমপির কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০), এএসআই মো. আব্দুল খালেক (৩৬), ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ (৪৩), পিওএমের এসআই সুলতানুল আরেফিন, পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই নাজির উদ্দীন (৫৫) এবং পিওএমের এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায় করোনার লড়াইয়ে প্রাণ হারান।
জানা গেছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৮০ পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে আক্রান্ত পুলিশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০৯ জনে।
এআর/এইচএ/জেআইএম
Advertisement