দেশজুড়ে

৮০ পরিবারে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ইফতার উপহার

কক্সবাজারের রামুতে সম্রাট অশোক নির্মিত ঐতিহাসিক ‘রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারে’ মুসলিম সম্প্রদায়ের সহস্রাধিক পরিবারে ইফতার সামগ্রী উপহার দিয়েছেন এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। করোনায় কর্মহীন হয়েপড়া এলাকার অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর এ মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কে জ্যোতিসেন থেরো।

Advertisement

ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের পর কক্সবাজারের অজপাড়া গ্রামে এমন উদ্যোগকে বৌদ্ধ ভিক্ষুর অসাম্প্রদায়িকতার বহি:প্রকাশ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে বিহারের নিচে প্রাচীন বটবৃক্ষ প্রাঙ্গণে ইউনিয়নের প্রায় বিশটি মসজিদের ইমাম ও এসব মসজিদের আওতাধীন ৮০টি পরিবারের মাঝে সহস্রাধিক মানুষের জন্য এ ইফতার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। এ সময় রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়েও পবিত্র রমজান মাসকে সম্মান জানিয়ে ইফতার সামগ্রী উপহার নিয়ে মসজিদের ইমাম এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো অবশ্যই প্রশসংনীয় উদ্যোগ। এলাকার চেয়ারম্যান হিসাবে আমি ভিক্ষুকে ধন্যবাদ জানাই।

Advertisement

রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক কে জ্যোতিসেন মহাথের বলেন, ধর্মীয় পরিচয়ের আগে, আমরা সবাই মানুষ। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো এটাই বাস্তবতা। তাই পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি আনন্দবোধ করছি।

তিনি বলেন, যাকাত বা দানে আত্মতৃপ্তি আছে। হাজারও সম্পত্তির মালিক হলে এই তৃপ্তি লাভ করা যায় না। আমি মনে করি প্রত্যেকের মনে যদি দানের চেতনা উজ্জ্বীবিত হয়, পরস্পর পরস্পরের প্রতি যদি সৌহার্দ্য- সম্প্রীতি বজায় রাখে তাহলে এই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় হবে। এ দেশ সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকা একজন মানুষ হিসাবে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করেই সাধ্যমতো উদ্যোগী হয়েছি।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে অসহায় রোজাদার মুসলিমদের মাঝে পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করতেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সদ্যপ্রয়াত অধ্যক্ষ শুদ্ধানন্দ মহাথের।

সায়ীদ আলমগীর/এমআরএম/এমকেএইচ

Advertisement