জাতীয়

এক মঞ্চে অাওয়ামী লীগ, জাপা ও বিএনপি

দেশের দুই মেরুর রাজনৈতিক দল বিভেদ ভুলে এক মঞ্চে উঠেছে এমনটা সাধারণত চোখে পড়েনা। রোববার রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি ঢাকা’র একটি অনুষ্ঠানে এমনই এক ব্যতিক্রম দৃশ্য ছিল। সেখানে দল মত নির্বিশেষে দেশের তিনটি বড় দলের জাতীয় পর্যায়ের নেতারা হাজির হয়েছিলেন হৃদয়ে টানে, ভালোবাসার টানে।এদিন রাজধানীর বেইলী রোডে অবস্থিত অফিসার্স ক্লাবে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র এক বর্ণাঢ্য অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব নেতারা একে একে হাজির অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত), পররাষ্ট্রমন্ত্রী অাবুল হাসান মাহমুদ অালী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু।

Advertisement

অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, সরকারের কাছে দাবি, আমরা গ্যাস চাই। আমরা কারো কাছে হাত পাততে চাই না। আমরা গোটা বাংলাদেশকে খাওয়াই। পশ্চাৎপদ থাকতে চাই না। তিনি বলেন, সংগ্রাম করতে হবে, যেন আমরা সবার সমতুল্য হতে পারি। জাতীয় পার্টি, বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ নয়, আমরা রংপুর বিভাগ করি। রংপুর অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে আরও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান এরশাদ।পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রংপুর অঞ্চল আগে অনেক অনুন্নত ছিল। এখন কিছুটা উন্নত হয়েছে। আরো উন্নয়নের জন্য আমাদের সকলের প্রচেষ্টা দরকার। এতে আমার যেকোনো ধরনের সহযোগিতা লাগলে আমি তা করতে প্রস্তুত।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, রংপুর বিভাগের উন্নয়নের জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে। তবে রংপুর বিভাগের উন্নয়নের জন্য আমি সব সময় প্রস্তুত আছি।পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, রংপুরের উন্নয়ন না হলে বাংলাদেশ কখনোই উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবে না। তিনি বলেন, রংপুরের মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ নেই। যার দল তার তার, রংপুর বিভাগের উন্নয়নে অংশগ্রহণ চাই সবার। রংপুর পিছিয়ে থাকলে সরকারের ভীষন-২০২১ বাস্তবায়ন হবে না। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতে পারবে না। রংপুর বিভাগের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাইলেই প্রধানমন্ত্রী রংপুরের জন্য বরাদ্দ দিচ্ছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার রংপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য সব সময় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজি প্রেসের মহাপরিচালক এ কে এম মানজুরুল হক, কুয়েতস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠনের সভাপতি বাবলু, সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান এবং গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের সমাজসেবক সিফাত হোসেন শাওনসহ অারো অনেকে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে গান পরিবেশন করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙাসহ কুড়িগ্রামের কিছু শিল্পী।এমএএস/এসএইচএস/পিআর

Advertisement