২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ থেকেই দেখা গেছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হলেই, লড়াইটা মাঝেমাঝে রূপ নেয় রুবেল হোসেন আর বিরাট কোহলির মধ্যকার ব্যক্তিগত দ্বৈরথে। সেবার রুবেলের বলে ইচ্ছেমত খেলেছেন কোহলি, হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি।
Advertisement
তবে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আবার শোধ নিয়ে নেন রুবেল। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রুবেলের বলে কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে মাত্র ৩ রান করতে পেরেছিলেন কোহলি। সেদিন উইকেট নেয়ার পর কোহলির দিকে অগ্নিদৃষ্টি দিয়েছিলেন বাংলাদেশি পেসার।
সবশেষ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও দেখা গেছে কোহলি-রুবেল দ্বৈরথ। এবার কোহলিকে বোলিং করে আউট করেননি রুবেল, ধরেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে আসা ক্যাচ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ দুজনের দ্বৈরথটা প্রথমবার ২০১১ বিশ্বকাপে দেখা গেলেও, আরও আগে থেকেই চলে আসছে এ দ্বন্দ্ব।
শুক্রবার রাতে সে গল্পটাই শুনিয়েছেন রুবেল। জানিয়েছেন কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্বের বয়স প্রায় ১২ বছর। ২০০৮ সালের যুব বিশ্বকাপের কাছাকাছি সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গিয়ে কোহলির মুখোমুখি হন রুবেল। সেবার স্লেজিংয়ের একপর্যায়ে দুজনই জড়িয়ে পড়েছিলেন বাদানুবাদে।
Advertisement
তামিম ইকবালের সঙ্গে করা ফেসবুক লাইভে সে ঘটনা জানিয়ে রুবেল বলেছেন, ‘আমরা (রুবেল ও কোহলি) একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি। তখন থেকেই একটু দ্বন্দ্ব লেগে আছে। ও তখন অনেক বেশি স্লেজিং করত। হয়তো জাতীয় দলে একটু কমেছে, তবে ঐসময় প্রচুর স্লেজিং করত।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা ম্যাচ ছিল, ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে। ও প্রচণ্ড পরিমাণে স্লেজিং করছিল, আমাদের যে ব্যাটসম্যান নামছিল তাকেই গালিগালাজ করছিল উল্টাপাল্টাভাবে। কীভাবে গালিগালাজ করছিল, সেটি আমরা সবাই জানি।’
সেদিনও কোহলিকে আউট করেন রুবেল। যথারীতি দেখান অগ্নিদৃষ্টি। ওতেই রেগে যান কোহলি। ব্যস শুরু হয় ক্রম চলমান এক দ্বন্দ্ব। রুবেলের ভাষ্য, ‘ওর সঙ্গে ওখানে খুব খারাপ একটা ঘটনা ঘটে। আমি ওকে আউট করার পর গালিগালাজ করেছিলাম। এরপর ও ব্যাটটা উল্টো করে ধরে ছিল আমার দিকে।’
‘আমাকে একটা গালি দিয়েছিল। তখন আমি ওর দিকে যাচ্ছিলাম, ও আমার দিকে তেড়ে আসছিল। এরপর আম্পায়ার এসে বিষয়টা সামলায়। তখন থেকেই ওর সঙ্গে আমার একটা দ্বন্দ্ব। এরপর থেকে জাতীয় দলে ওর সঙ্গে আমার দুয়েক দিন বেধেছে এরকম। শুরু হয় মূলত অনূর্ধ্ব-১৯ থেকেই।’
Advertisement
এসএএস/এমএস