মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম, ফেজ-২ ও প্রজেক্ট (এনএটিপি-২) বাংলাদেশের সর্বমোট ২ হাজার ৬৯৪টি উপজেলায় চলমান রয়েছে।
Advertisement
প্রকল্পাধীন উপজেলার ৩ হাজার ইউনিয়নে প্রায় ৮৮২ কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ (সিআইজি) সমবায় কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে ১৩৫ জন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। উক্ত সমবায় কার্যক্রমের মাধ্যমে সিআইজি সদস্যভুক্ত প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ৭৫০ কৃষক এবং নন-সিআইজি সদস্যভুক্ত প্রায় ৬ লাখ কৃষকের প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে।
শুক্রবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এনএটিপি-২ এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রান্তিক খামারী/কৃষকদের খামারের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য বাজারমূল্য প্রাপ্তিতে বাজারে প্রবেশাধিকারে তাদের সমতা বৃদ্ধি। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে করোনার প্রাদুর্ভাবকালীন সময়েও খামারীদের প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখাসহ উৎপাদিত দুধ, ডিম ও মাংস বাজারজাতকরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ঠিক রাখতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে এনএটিপি পরিবার।
Advertisement
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম বিক্রয় ও খামারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে কর্মকর্তারা। এ পরিস্থিতিতে গোখাদ্য সমস্যা দূরীকরণে খামারীদের মাঝে ঘাস চাষ প্রদর্শনী প্রদানের মাধ্যমে উন্নত জাতের ঘাষ চাষ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সশরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা টেলিফোনে দিচ্ছে জরুরি চিকিৎসা সেবা।
এ বিষয়ে এনএটিপি-২ এর লাইভস্টক এক্সটেনশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ইনাম আহমেদ বলেন, বর্তমানে করোনা পরবর্তী দেশের দুর্ভিক্ষ নিরসনে নিরাপদ প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদনে এনএটিপি-২ প্রজেক্টের প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের প্রত্য দিকনির্দেশনায় যে সম্প্রসারণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে এবং তারাসহ প্রাণিসম্পদের প্রতিটি কর্মকর্তা/কর্মচারীরা করোনা যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এনএটিপি-২- প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রত্য তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রম সারা দেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন উৎপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত খামারীদের উৎপাদিত পণ্য দুধ, ডিম, মাংস সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারছে অন্যদিকে ক্রেতাসাধারণ ন্যায্য মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস কিনতে পারছেন।
লাইভস্টক এক্সটেনশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মুশফিকুর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ এর এই বৈশ্বিক সমস্যায় এনএটিপির প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনের অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ বিতরণ ও ১০ টাকা কেজি মূল্যে চাল বিক্রয় কর্মসূচিতে ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিরলস ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এনএটিপির প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের এরূপ কর্মকাণ্ড যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাই।
এফএইচএস/এফআর/এমএস
Advertisement