দেশজুড়ে

কোরআনে হাফেজকে পিটিয়ে হত্যা করল কিশোর গ্যাং

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শেখ জাহেদ (১৮) নামে এক কোরআনে হাফেজকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়ের ২নং ওয়ার্ডের কেজি রোডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শেখ জাহেদ ওই ওয়ার্ডের মুহরীরটেক এলাকার জয়নাল আবেদীন সারেং বাড়ির মো. রফিক উল্যার ছেলে। তিনি একজন কোরআনে হাফেজ ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগের ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবু জাহেদের সঙ্গে স্থানীয় হৃদয় নামে এক কিশোরের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে জাহেদ বন্ধুদের সঙ্গে মুহরীরটেক এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে হৃদয়ের সঙ্গে জাহেদের বাগবিতণ্ডা হয়।

Advertisement

পরে হৃদয় চা দোকান থেকে বের হয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর হৃদয়, অপু, আমির হোসেনসহ কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য জাহেদ ও তার বন্ধুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে জাহেদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত জাহেদের মামা রেজাউল হক সোহাগ জানান, পূর্বশক্রতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই ওয়ার্ডের কিশোর গ্যাং হৃদয় গ্রুপের সদস্য আমির হোসেন, নূর হোসেন, রাশেদ, হৃদয়, অপুসহ ১৫ থেকে ২০ জন প্রকাশ্যে জাহেদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু লাঠি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। মূলহোতাদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যার ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

মিজানুর রহমান/আরএআর/এমএস

Advertisement