মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামে এক স্কুলশিক্ষক (৩০) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে শুক্রবার (০৮ মে) পর্যন্ত মেহেরপুরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতজন। মৃত্যু হয়েছে একজনের।
Advertisement
শরীরে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ থাকায় বৃহস্পতিবার (০৬ মে) ওই স্কুলশিক্ষক পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দলের কাছে।
এর আগে তার বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ঢাকাফেরত তার ফুফু। গত ২ মে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার ফুফু মৃত্যুবরণ করেন। তবে নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এখন তার পরিবারের সদস্য ওই শিক্ষকের করোনায় আক্রান্তের মধ্য দিয়ে সেই সন্দেহ সত্যি হতে চলেছে। মৃত ফুঁফুর মাধ্যমেই পরিবারের লোকজন আক্রান্ত হচ্ছেন বলে ধারণা ওই শিক্ষকের।
আক্রান্ত শিক্ষক মেহেরপুর রুপালী ব্যাংক ও গাংনী শহরের বন্ধন কম্পিউটারে কাজ করেছেন দুই দিন আগে। এ দুটি স্থানে অনেক শিক্ষক তার সংস্পর্শে ছিলেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি স্বীকার করে বন্ধন কম্পিউটর মালিক তোফাজ্জেল হোসেন তুহিন জানান, আক্রান্তের খবর পেয়ে আমি ও আমার কর্মচারী প্রদীপ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি।
Advertisement
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, ওই শিক্ষক কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ওই শিক্ষকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
আক্রান্ত শিক্ষকের ভাই উমর ফারুক বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য এক মাস আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ছিলেন আমার ফুফু। আমাদের বাড়িতে ২৮ এপ্রিল ফিরে এলে পরদিন তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন করে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও পুলিশের লোকজন। ২ মে ভোরে তার বুকের ব্যথা বেড়ে গেলে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ফুফুর মৃত্যু হয়। আমরা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেউ নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ না করেই স্বাভাবিকভাবে দাফন করি।
তিনি আরও বলেন, তার ফুফুর দাফন-কাফনের পরদিন থেকে তিনি শরীরে জ্বর অনুভব করেন। কয়েকদিন ধরে জ্বর না সারায় তিনি নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেন। তার কোডিভ-১৯ পজিটিভ হওয়ায় এখন গোটা পরিবার নিয়ে তিনি চিন্তিত।
মৃত নারী যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে তার সংস্পর্শে আসাদের বিষয়ে করণীয় কী জানতে চাইলে, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ান আহম্মেদ বলেন, আক্রান্ত শিক্ষকের বাড়ি লকডাউনের প্রক্রিয়া শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
আসিফ ইকবাল/এফএ/পিআর