রাজনীতি

সরকারকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে : খন্দকার মাহবুব

সরকারের অবস্থা সংকট জনক দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সরকারকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। সরকার টেলিভিশনে যতই হাসিমুখে কথা বলুক না কেন তা বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। কারণ সরকার ইতোমধ্যে দেশের অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস করে ফেলেছে।রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ অগ্নিসেনা সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে যারা শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাদের নাম জনসম্মুখে প্রকাশ করুন। আর এই টাকা ওই সকল ব্যক্তির কাছে কিভাবে আসলো তারও হিসাব আপনাদেরকেই দিতে হবে।‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সুইচ ব্যাংকে যে সকল বাংলাদেশিদের টাকা রয়েছে তার হিসাব বিএনপি সরকারের কাছে চেয়েছিল। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছিলেন, সুইচ ব্যাংকে যাদের টাকা আছে তাদের টাকার হিসাব নেয়া হবে। কিন্তু আজ পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও তার হিসাব প্রধানমন্ত্রী এখনও দেননি।দল মত নির্বিশেষে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অগোছালোভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে কোন লাভ হবে না। তাই ২০ দলীয় জোটের বাইয়ে যে সকল দল রয়েছে তাদেরকে দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।দেশের সকল রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে মাহবুব হোসেন বলেন, আপনাদের যাদের যে ইস্যু রয়েছে সেই ইস্যুতেই রাজপথে নামুন। যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই মাঠে নামুন। কারণ শুধু কথা বললে সরকার বিদায় হবে না। তাই এই অবৈধ সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করতে হবে।বর্তমান ক্ষমতাসীনরা আইন না করেই গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই কঠিন অবস্থাতেই গণমাধ্যমগুলোকে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।এর আগে, সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদার রাখার জন্য বাংলাদেশ অগ্নিসেনা সংসদদের তিন সদস্যকে ক্রেস্ট প্রদান করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান তালুকদার জহিরুল হক তুহিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।এমএম/আরএস/আরআইপি

Advertisement