কারাগারে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কারা কর্তৃপক্ষ সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কারাগারগুলোতে ‘ভাইরাস জিরো’ ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরিয়া থেকে আমদানি করা এ ওষুধ ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিটানো হয়েছে। শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশের সব কারাগারে বন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোরিয়া থেকে আমদানি করা নতুন মেডিসিন ‘ভাইরাস জিরো’ স্প্রে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মে) দেশের সব কারাগারে আইসিআরসির গাড়িতে ভাইরাস জিরো স্প্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বন্দিদের সুরক্ষার জন্য এ ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এসব ওষুধ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য কারা অধিদফতরের সব ডিআইজি ও কারা-কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন আরও বলেন, কারাবন্দিদের সুরক্ষায় নানামুখী উদ্যোগ ও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কারাগারে এরই মধ্যে নতুন যে বন্দি আসছে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রেখে সুস্থতা নিশ্চিত করে তারপর অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া করোনার কোনো আলামত বা উপসর্গ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার জন্য এবং তার আশপাশে যারা আছে সবাইকে আলাদা করে দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার চেয়েও বাড়তি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কারাগারে আটটি আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। তবে বন্দিদের মধ্যে এখনও কোনো করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র ঢাকা মেডিকেলে যেসব কারারক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন তাদের ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
Advertisement
কারাগার ও কারাবন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করে কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা ভাইরাস জিরো নামে নতুন একটা দামি মেডিসিন কোরিয়া থেকে আমদানি করেছি। সেটা দেশের সব কারাগারে ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার (৮ মে) সকালে কারাগারের বিভিন্ন স্থানে ভাইরাস জিরো স্প্রে করা হয়েছে। আগে থেকেই কারাগারের ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দিদের রাখায় করোনার প্রভাব তেমন পড়েনি।’
এফএইচ/এমএফ/পিআর
Advertisement