দেশজুড়ে

যশোরে পজিটিভ ঢাকায় নেগেটিভ করোনার রিপোর্ট

ঝিনাইদহে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাদের মধ্যে ১৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শুক্রবার (৮ মে) সকালে আইইডিসিআর পুনঃপরীক্ষার রিপোর্টে এমন প্রতিবেদন দিয়েছে। তাদের তৃতীয়বার নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। এমন ফলাফল নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ঝিনাইদহ জেলাজুড়ে।

Advertisement

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল থেকে পজিটিভ রিপোর্ট আসা ঝিনাইদহের ৩৩ জনের নমুনা ৩, ৭ ও ১৪ দিনের ব্যাবধানে আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে ১৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি ১৮ জনের ফলাফলও চলে আসবে।

যবিপ্রবির রিপোর্ট নিয়ে কোনো সন্দেহ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন জানান, বিষয়টি যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসা এক ব্যক্তি জানান, পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর আমরা গোটা পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সামাজিকভাবেও আমাদেরকে নানাভাবে হেয় হতে হয়েছে।

Advertisement

এদিকে যবিপ্রবিতে পজিটিভ হওয়া রিপোর্ট ঢাকায় নেগেটিভ হওয়ার ঘটনায় পরীক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তারা বলছেন, করোনা নিয়ে দু’বারে দুই রকম তথ্য আসার বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনোভাবেই ছোট করে ভাবার সুযোগ নেই। এখনই এটা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) রাত ১০টার দিকে ঝিনাইদহ থেকে পাঠানো করোনার ১৫টির নমুনার ফলাফল এসেছে যবিপ্রবি থেকে। যার সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, করোনা ভাইরাস তার ক্যারেক্টার পরিবর্তন করে অটোমেটিক নেগেটিভ হতে পারে। করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্ত ল্যাবে বসানোর আগ পর্যন্ত ভাইরাস তার চরিত্র পরিবর্তন করতে পারে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে পজিটিভ হওয়া ঝিনাইদহের ১৫ রোগীর রিপোর্টের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে। তবে তাদের তৃতীয়বার পরীক্ষা করলে বিষয়টি বোঝা যাবে। জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী সবাই সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এফএ/জেআইএম

Advertisement