বিনোদন

খেলতে গিয়ে ইফতারের কথা ভুলে যেতাম : শারমিন সুমি

তারকাদের ধর্ম কর্ম নিয়ে ভক্তদের অনেক কৌতুহল। অনেকেই মনে করেন মিডিয়াতে কাজ করেন যারা তারা ধর্ম নিয়ে উদাসীন। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। সব তারকাই যার যার ধর্ম পালন করে থাকেন।

Advertisement

মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেনরোজায় ব্যস্ত থাকেন নানা রকম কাজে। আর সবার মতো তাদেরও আছে রোজা রাখার অনেক মজার স্মৃতি। যা ফেলে আসা শৈশবে পড়ে আছে সোনালি স্মৃতি হয়ে।

দেশের জনপ্রিয় গানের দল চিরকুট। দলটির অন্যতম সদস্য শারমিন সুলতানা সুমি তেমনি কিছু অভিজ্ঞতা জানালেন রোজা নিয়ে সুমি।জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

জাগো নিউজ : প্রথম রোজা কবে রেখেছেন মনে পড়ে? সুমি : আমি একদম ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত রোজা রাখি। আমার এখন ওইভাবে মনে নেই প্রথম রোজার সময় বা বয়সটা। কিন্তু আমি খুব ছোট থেকে রোজা রাখতাম, এটা বলতে পারি।

Advertisement

জাগো নিউজ : শৈশবের রোজার মজার স্মৃতি? সুমি : মজার স্মৃতি বলতে আমি খেলতে গিয়ে ভুলে যেতাম যে ইফতারির সময় হয়ে যাচ্ছে। ওই সময় তো বুঝতাম না যে ইফতারি করতে হয়। বাসা থেকে ইফতারির সময় বারবার ডাকতে আসতো ইফতারি করার জন্য। আমি ও আমার সব ভাইবোন যখন ডাইনিং টেবিলে বসতাম ইফতারি করার জন্য, তখন ইফতারি ছোড়াছুড়ি করতাম। দেখা যাচ্ছে, আমার প্লেটের খাবার শেষ, অন্য ভাইবোনদের খাবার নিয়ে খেয়ে ফেলতাম।।সেসব সময় দারুণ ছিলো।

জাগো নিউজ : ইফতারিতে কী ধরনের খাবার পছন্দ করেন? সুমি : ছোটবেলায় ভাজাপোড়া খেতে পছন্দ করতাম। যেমন মুড়ি মাখানো, বেগুনের চপ, পিঁয়াজু ছাড়া ইফতার জমতোই না। আর এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে খাবারের পছন্দটাও পাল্টে যাচ্ছে। এখন বেশি খাওয়া হয় ফল, বিভিন্ন রকমের জুস। স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হয়।

জাগো নিউজ : এবারের রোজায় বিশেষ কী প্রার্থনা করছেন....?সুমি : অবশ্যই করোনা মুক্ত পৃথিবী চাই। সব আগের মতো হয়ে যাক। আবার সবাই মুক্ত হয়ে বাইরে থাকবো। প্রার্থনা করি যে যেখানে আছে সবাই যেন ভাল থাকে, সুস্থ থাকে। কোনো খারাপ খবর যেন শুনতে না হয়। সবাই সুন্দরভাবে সবগুলো রোজা যেন রাখতে পারি।

জাগো নিউজ : করোনার সময়গুলো কীভাবে কাটছে?সুমি : গানের মাধ্যমে মানুষকে মেসেজ দিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছি সবসময়। আর আল্লাহ কাছে সবসময় প্রার্থনা করছি যেনো আমাদের এই দুঃসময়টা কেটে যায় খুব দ্রুতই। আল্লাহ আমার গলায় সুর দিয়েছেন। এটাকে দুঃসময়ে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো একজন শিল্পী হিসেবে আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। দেশের যেকোনো দুঃসময়ে চেষ্টা করি যেনো আমার কথা ও সুরগুলো যেনো মানুষের কাজে আসে।সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি এই করোনার দুর্যোগেও। সবসময় এবং ভবিষ্যতে করে যাবো।

Advertisement

জাগো নিউজ : করোনায় এই যে গৃহবন্দী আছেন। উপলব্ধি কী?সুমি : আমরা মানুষ হিসেবে সারাজীবন শুরু থেকে যুদ্ধ করতে করতে বেঁচে থাকতে হয়। সুতারং এই দুর্যোগ সেই যুদ্ধেরই অংশ। আমরা আমাদের মতো করে প্রস্তুত আছি পৃথিবীতে ঠিকে থাকার জন্য। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছে ।

আমরা সবাই ঘরমুখি হয়েছি।এই সময় মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক শিকার করবো। প্রচুর ব্যস্ততায় আমরা সবাই খুব বেশি যান্ত্রিক হয়ে গেছিলাম। এখন সবাই চিন্তা করার প্রচুর সময় পাচ্ছি।আমাদের কি আসলেই এতো যান্ত্রিক হওয়ার প্রয়োজন ছিলো?

এখন আমরা ঘরে বন্দী। আর ঘরে বন্দী থেকে অনেক ধরণের উপলব্ধিই হচ্ছে আসলে। তবে প্রকৃতির প্রতি, পৃথিবীর প্রতি সচেতন থাকা এবং ভালোবাসা প্রদর্শনের উপলব্ধিও হচ্ছে।

এলএ/এমএস