কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডিজিটাল ফাইন্যান্সিংয়ে ইনক্লুশনের (ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি) দিকে এগুচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। গভর্নর বলেন, ফাইন্যান্সিংয়ে ইনক্লুশনে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। এখন ডিজিটাল ফাইন্যান্সিংয়ে ইনক্লুশনের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই পরিকল্পনায় সহেজে সব গ্রাহকের মাঝে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। লিখিত বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন, বাণিজ্যিক সকল ব্যাংকে কোর ব্যাংকিং সলিউশনে কাজ করতে হবে। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অটোমেশনকে আরো একধাপে এগিয়ে দিল। শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংক রিয়াল টাইমস সেটেলমেন্টে (আরটিজিএস) যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখার নির্বাহী পরিচালক মো. মজিবুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আহসান উল্লাহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনিন সুলতানা, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহমুদা আক্তার মিনা্। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাশেম ও আবু হেনা মো. রাজী হাসান প্রমুখ। নাজনিন সুলতানা বলেন, এখন আরো সহজ হচ্ছে বাংকের লেনদেন। গ্রাহকরা সঞ্চয়পত্রের টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) মাধ্যমে অতি সহজেই পাবেন। সকলকে ইএফটি ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি। মাহমুদা আক্তার মিনা বলেন, ইএফটির মাধ্যমে গ্রাহকেরে হিসেবে টাকা চলে যাবে এতে করে সময় অর্থ শ্রম সবই বাঁচবে। সঞ্চয়পত্র ৩ চ্যানেলে বিক্রি হয়-ব্যাংকের মাধ্যমে, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের মাধ্যমে ও ডাক ঘরের মাধ্যমে। এ বিষয়ে আরো শক্তিশালী করতে কাজ করছে সরকার। উল্লেখ্য, সঞ্চয়পত্রধারী বা ক্রেতাগণ ব্যাংকের কাউন্টারে স্বশরীরে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তির মূল টাকা ও মাসিক মুনাফা সংগ্রহ করার ফলে গ্রাহকের যথেষ্ট সময় ও অর্থের অপচয় হয়। গ্রাহকের সময়, অর্থের সাশ্রয় ও ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগ। এসআই/জেডএইচ/এমএস
Advertisement